ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২য় ধাপে ঢাকাসহ ১৪০ উপজেলায় তথ্য সংগ্রহ
Published : Wednesday, 8 June, 2022 at 12:00 AM
সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য এবার দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রথম ধাপে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি।
মঙ্গলবার (৭ জুন) ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসি সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৪০ উপজেলা ও থানায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তথ্য সংগ্রহের এই কার্যক্রম চলবে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত।
ইসির সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন জানান, এই ধাপে রাজধানীর তিনটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এলাকাগুলো হচ্ছে- উত্তরা, মতিঝিল ও রমনা। ঢাকার এই তিন থানায় ১৩ জুন থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
এছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময়ও নতুন ভোটার হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র।
এর আগে গত ২০ মে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করে ইসি। প্রথম ধাপেও ১৪০টি উপজেলায় কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট চার ধাপে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করবে কমিশন।
গতবারের মতো এবারও তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে যাদের বয়স যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তখন তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় ?যুক্ত হবেন।
এবারের হালনাগাদে ভোটার বৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৮৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫২৬ জন ব্যক্তিকে হালনাগাদের অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সংস্থাটি।
যারা অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করবেন, তারা অনলাইন কপি প্রিন্ট করে অন্যান্য ডকুমেন্টসহ সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে বাকি নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
২০০৭-০৮ অর্থবছরে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম হাতে নেয় ইসি। সেই সময় নয় কোটি ভোটারের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়।
ইসির সর্বশেষ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ এবং পাঁচ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ নারী ভোটার। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৪৫৪ জন।
প্রথম থেকে এনআইডি হারানো ও সংশোধন সংক্রান্ত সেবা বিনামূল্যে দিলেও ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফি নেওয়া শুরু করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।