ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কানাডার ভোজ্যতেল বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
Published : Thursday, 12 May, 2022 at 12:00 AM
বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে কানাডার ক্যানোলা তেলের (অলিভ অয়েল, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের মতোই স্বাস্থ্যকর ভোজ্যতেল) কারখানা স্থাপন করে, সেখানে তেল উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার (১১ মে ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলসের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ আহ্বান জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কানাডা বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। এর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দেশটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির বড় বাজার রয়েছে। বর্তমানে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ।
‘বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করে থাকে। কানাডায় প্রচুর ক্যানোলা তেল উৎপাদন হয়। স্বাস্থ্যসম্মত এই ভোজ্যতেল বাংলাদেশে জনপ্রিয় হতে পারে। কানাডা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এই তেলের ফ্যাক্টরি নির্মাণ করে উৎপাদন করলে, বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে তেল রপ্তানি করে লাভবান হতে পারে।’
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে কানাডা লাভবান হবে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বেশ কয়েকটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুবিধাজনক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
‘বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ আলুর উৎপাদন হয়। এগুলো রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের কৃষিপণ্যের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গবেষণার কাজে কানাডা সহায়তা করলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।’
কানাডায় বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ৭০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য কানাডায় রপ্তানি করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ কানাডা থেকে আমদানি করেছে ৪২৮ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
দেশের তৈরি পোশাক নিয়ে টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পোশাক তৈরি ও রপ্তানি করছে।
‘ইউএস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল বিশ্বের ১৫৭টি ফ্যাক্টরিকে লিড গ্রীন ফ্যাক্টরির সার্টিফিকেট দিয়েছে। এ তালিকার প্রথম ১০টির মধ্যে নয়টি ফ্যাক্টরিই বাংলাদেশের। বাংলাদেশে এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছে। এখানে শ্রম আইন সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।’
কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস বলেন, কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। কানাডায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বিপুল চাহিদা রয়েছে। কানাডার ক্যানোলা ভোজ্যতেল বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে।
‘উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে সরকারের (জিটুজি) চুক্তি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এই তেল আমদানি করতে পারে। এ বিষয়ে কানাডা সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বলে আশ্বস্ত করেন লিলি নিকোলস।’
বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের প্রশংসা করে কানাডার হাইকমিশনার বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে। এ সময় বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসাও করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) নুসরাত জাবীন বানু উপস্থিত ছিলেন।