Published : Wednesday, 11 May, 2022 at 12:00 AM, Update: 11.05.2022 12:44:49 AM

মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
কুমিল্লার
মুরাদনগরে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে অপহরণ করা সেই কলেজ ছাত্রীকে (১৭)
চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে মুরাদনগর থানা পুলিশ
চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার চাক্তাই এলাকার একটি বাসা থেকে তথ্য প্রযুক্তির
সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় আয়োজিত এক
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ওসি আবুল হাসিম। তবে অস্ত্রধারী
অপহরণকারী চক্রের কোন সদস্যকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ দিকে
অপহৃত ওই ছাত্রীর মায়ের ভাষ্যমতে পিস্তল ঠেকিয়ে তার মেয়েকে অপহরণ করা হলেও
মামলার এজাহারে রহস্যজনক কারণে তা উল্লেখ করেনি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে
পিস্তলের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে দাবি পুলিশের। তবে অপহরণের রহস্য ও
অস্ত্রের বিষয়টি উদঘাটনের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশের
একাধিক টিম কাজ করছে বলে জানান ওসি আবুল হাসিম।
তিনি আরো জানান, এ
ঘটনায় সোমবার রাতে অপহৃতার মা আবিদা সুলতানা বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ
মোট ৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আসামীরা হলো, মুরাদনগর
সদর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান সানি
(২১), তার রড় ভাই আজিজুর রহমান রনি (৩৫), মুরাদনগর মধ্যপাড়ার রাব্বি (২৮) ও
কামরুল (২৫)।
এ সময় মুরাদনগর থানার ওসি আবুল হাসিম আরো বলেন, প্রাথমিক
ভাবে জানা যায় ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হাবিবুর রহমান সানির।
এরই সুত্র ধরে সোমবার সকালে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে
বিয়ে করেন হাবিবুর রহমান সানি। বিয়ের পর তারা দু’জন চট্টগ্রামে চলে যায়।
সেখানে স্বামী-স্ত্রী পারিচয় দিয়ে একটি ভাড়া বাসায় ওঠে। পরে সানি স্ত্রীকে
কোনকিছু না বলে তাকে বাসায় রেখে চলে যায়। রাতেই পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির
সহায়তায় ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায়
পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ দিকে আলোচিত এ
অপহরণের ঘটনায় জড়িতরা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ
করছে। অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি সকল শ্রেণি পেশার লোকজনের। অন্যথায় সমাজে অপরাধ
প্রবণতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে।
অপর দিকে ভিকটিম ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার
করা হলেও অপহরণের ঘটনায় জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তাদেরকে গ্রেপ্তার না করার
পেছনে অন্য কোন রহস্য আছে কিনা এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলে।
উল্লেখ্য,
সোমবার দুপুরে মুরাদনগর উপজেলা সদরের মাস্টার পাড়া এলাকা থেকে প্রকাশ্য
দিবালোকে পিস্তল ঠেকিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে (১৭) অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায়
এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। ওই কলেজ ছাত্রী মাস্টারপাড়ার প্রবাসী দেলোয়ার
হোসেনের মেয়ে এবং উপজেলা সদরের কাজী নোমান আহমেদ ডিগ্রি কলেজের একাদশ
শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী।