Published : Wednesday, 26 January, 2022 at 12:00 AM, Update: 26.01.2022 1:02:14 AM

এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
দেবীদ্বারের
১৫টি ইউনিয়নে এবার ১০৩ চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত- ১৪৫জন এবং সাধারণ সদস্য-
৫৫৮জনসহ মোট ৮০৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমেছেন। সম্প্রতি দেশের
বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত সুষ্ঠ নির্বাচনের ফলাফলে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ
বেড়েছে। এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর চেয়ে( স্বতন্ত্র) যোগ্য প্রার্থী
নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে।
দুই ইউপি চেয়ারম্যান
পরিবারের ১টিতে স্বামী- স্ত্রী অপরটিতে মা’, ছেলে, ভাসুর ও ২ভাসুর পুত্রসহ
৫জন চেয়াম্যান প্রতিদ্বন্দ্বী, সংরক্ষিত আসনে বোনের প্রতিদ্বন্দ্বী বোন
ছাড়াও নৃগোষ্ঠীর বেদে পরিবারের এক জন ও হিজরা পরিবারের এজন সদস্য পদে
প্রতিদ্বন্দ¦ীতা করছেন।
বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর চেয়ে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত অধিকাংশ প্রার্থীর পাল্লা
ভারী হয়ে উঠছে।
১৫ ইউনিয়নের ২ নং ইউছুফপুর ইউনিয়নের বর্তমান
চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল চৌধূরী এবং ১৬ নং মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
মোঃ সহিদুল ইসরাম ছাড়া বাকী ১৩ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচনী
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। এ ১৩ ইউপির মধ্যে ৪জন নৌকা প্রতীক নিয়ে
প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। বাকী ৯জন বিদ্রেুাহী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রতীক নিয়ে
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

৪ নং সুবিল ইউনিয়নে স্বামী-স্ত্রী
অর্থাৎ বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের- আনারস প্রতীক এবং স্ত্রী মোসাঃ
শাহিনুর আক্তার- মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেয়ে ভোট
প্রার্থণা করছেন। অপরদিকে ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী
শাহনাজ পারভীন’র বিপরীতে চেয়ারম্যান পদে একই পরিবারের ৫জন
প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমেছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহনাজ পারভীনের সৎ
পুত্র মোঃ আল মামুন বাবু- ‘২টি পাতা’ প্রতীক নিয়ে মা’য়ের বিরুদ্ধে
প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমেছেন। শাহনাজ পারভীনের সৎ পুত্র মোঃ আল মামুন বাবু
অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসী হামলার আশংকায় রোববার প্রতীক বরাদ্ধ নিতে পুলিশ
প্রহরায় নির্বাচন অফিসে আসতে হয়েছে। শাহনাজ পারভীনের ভাসুর বর্তমান
চেয়ারম্যান (৫বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান) খন্দকার এম,এ,সালাম- আনারস
প্রতীক নিয়ে এবং খন্দকার এম,এ, সালাম’র ২ পুত্র খন্দকার মোঃ ফখরুল ইসলাম
(কাপপিরিচ) ও খন্দকার মোঃ মজিবুর রহমান মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোটাদের
দ্বারে দ্বারে চষে বেড়াচ্ছেন। একই ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক
মোঃ কামরুজ্জামান মাসুদ- দোয়াত কলম এবং ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোঃ মফিজুল
ইসলাম- ঢোল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়াও আ’লীগ নেতা বীর
মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাম মিয়া- অটোরিক্সা প্রতীক, মোঃ আলেক মিয়া- টেবিলফ্যান
প্রতীক, ইউনিয়ন মৎস লীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন- ঘোড়া প্রতীক, মোঃ
এরশাদ মিয়া- টেলিফোন প্রতীক, আলেক মিয়া- টেবিলফ্যান প্রতীক, মোঃ সাদ্দাম
হোসেন- রজনীগন্ধ্যা প্রতীক, বিএনপি সমর্থক মোঃ জহির হাসান- চশমা প্রতীক,
জাতীয় পার্টির সমর্থক মোঃ আবুল বাশার খান- লাঙ্গল প্রতীক এবং ইসলামী
শাসনতন্ত্র আন্দোলন’র মোঃ দেলোয়ার হোসেন- হাতপাখা প্রতীকসহ মোট ১৫জন
প্রার্থী নির্বাচনে প্রত্বিন্দ্বীতা করছেন।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে
রসুলপুর ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ড’র সংরক্ষিত মহিলা আসনে বর্তমান মেম্বার
শামিমা বেগম সুফলা (মাইক)’র সাথে তার সৎ বোন হাছিনা আক্তার ‘বক’ প্রতীক
নিয়ে এবং নৃগোষ্ঠীর বেদে পরিবারের সর্দার আলাউদ্দিন কবিরাজ গুনাইঘর(উঃ)
ইউপি’র ৯নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে ‘তালা’ প্রতীক নিয়ে এবং রসুলপুর
ইউনিয়নে হিজরা পরিবারের ইসমাইল হোসেন শুকতারা মেম্বার পদে
প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমেছেন।