Published : Friday, 14 January, 2022 at 12:00 AM,  Update: 14.01.2022 1:05:36 AM
				
				
			 
			                                                        
নিজস্ব
 প্রতিবেদক: কুমিল্লায় ইউনিয়ন পর্যায়ের সাব-ব্লকে গিয়ে করোনার টিকাদান 
কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় টিকা গ্রহণে 
পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীকে করোনা টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে কুমিল্লা স্বাস্থ্য 
বিভাগের পক্ষ থেকে এই কমসূচি শুরু করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতি বার সকালে 
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার উত্তর দূর্গাপুর ইউনিয়নের বদর পুর গুচ্ছগ্রামে 
এই টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক 
হোসাইন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী, সদর 
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামসাদ রাব্বানি খান, মেডিকেল অফিসার 
(রোগনিয়ন্ত্রন) মোঃ এনামুল হক, উত্তর দূর্গাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল 
কালাম আজাদসহ অন্যান্যরা। 
বৃহস্পতিবার এই গুচ্ছগ্রামে মোট ৩৮০ জনকে 
করোনা টিকার আওতায় আনা হয়। যারা পূর্বে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন তারা এই 
সাব-ব্লকের টিকা কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন। এছাড়া যারা আগে নিবন্ধন করেন 
নি তারাও এই কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি
 শামসুল হক জানান, যারা প্রতিদিন কাজে কর্মে ব্যস্ত থাকা তারা সদর হাসপাতাল
 বা ম্যাডিকেলে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে টিকিা নিতে পারে নি। কিন্তু এখন 
বাড়ির কাছে টিকা কেন্দ্র হওয়ায় আমারা তাড়াতাড়ি এসে টিকা নিয়ে যেতে পেরেছি। 
এটা খুব ভালো হয়েছে। 
গৃহিনী রায়সা আক্তার জানান, আমার ভোটার আইডি কার্ড
 হয় নি। তাই অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারি নি। অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন 
জানেনা বিধায় ভোগান্তির কথা চিন্তা করে দোকানে গিয়েও অনেক মহিলারা 
রেজিষ্ট্রেশন করেনি। তারা আজকে এখানে এসে টিকা নিয়ে খুব খুশি। যারা 
রেজিষ্ট্রেশন করে নি। তারা টিকা কেন্দ্র থেকে একটি টিকা কার্ড পেয়েছে। 
উপজেলা
 স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামসাদ রাব্বানি খান জানান, যারা রেজিষ্ট্রেশন করেনি 
তারা টিকা কাার্ড দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন। পথম দিনে বদরপুর এলাকার 
গুচ্ছগ্রামে ৩৮০ জনকে প্রথম ডোজ সিনোফার্ম টিকা দেয়া হয়েছে। 
সিভিল 
সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, প্রত্যন্ত এলাকার পিছিয়ে পরা মানুষকে 
টিকার আওতায় আনতেই আমরা জনগণের দোড়গোড়ায় যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ 
যে তিনি আমাদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেছেন। আর আমরা কুমিল্লাতে শতভাগ 
টিকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এই কার্যক্রম পুরো জেলায় চালিয়ে যাবো।