বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে ‘কঠোর নিরাপত্তা বলয়’
Published : Wednesday, 15 December, 2021 at 12:00 AM
মুজিব শতবর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ঢাকা সফর ঘিরে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলছে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপি।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রস্তুতি তারা নিয়েছেন।
বিজয় দিবস ঘিরে ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর তিন দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন, সংসদ ভবন চত্বর এবং জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড এলাকায় থাকবে কঠোর নিরাপত্তা।
পুলিশ কমিশনার বলেন, “এবার বর্ণিল এবং সুন্দর করে অনুষ্ঠান আয়োজন করার চেষ্টা করছে সবাই। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি ভেন্যুতে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। সবাইকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভেন্যুতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে তাদের কোনো ভেন্যুতে ঢুকতে দেওয়া হবে না।”
মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার সকালে ঢাকায় আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সফরের প্রথম দিন তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবং ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গেও তার বৈঠক হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুই দিনের অনুষ্ঠানমালার মূল আয়োজন হচ্ছে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর এসব অনুষ্ঠানে দেশি ও বিদেশি অতিথিরা অংশ নেবেন।
এসব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)।
এছাড়া ডগ স্কেয়াড দিয়ে তল্লাশি এবং ‘বম্ব সুইপিং’ করা হবে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, “যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াতের বিশেষায়িত টিম এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিট ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকবে।”
জঙ্গিদের তৎপরতার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে আমরা কখনোই নিশ্চিত হতে পারি না। নিশ্চিত করে বলতে পারি না যে আমরা নিরাপদ আছি।
“তারা সবসময় তৎপর থাকে। যে কোন সুযোগ পেলেই তারা ছোবল দেওয়ার চেষ্টা করে। আর এজন্য এধরনের অনুষ্ঠানকে গোয়েন্দা ভিত্তিক সাজানো হয়েছে, যেখানে প্রতিটি কর্নারে গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছে।”
শফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রতিটি ভেন্যুর আশেপাশে পুলিশের যে নিরাপত্তাবলয় থাকবে তার ভেতরে যত আবাসিক হোটেল আছে, মেস আছে- যেগুলো সন্দেহজনক মনে করছি ব্লক রেইড করা হচ্ছে।
“যাতে কোনো সন্ত্রাসী বা জঙ্গি আমাদের নিরাপত্তা বলয়ের ভেতরে ঢুকে থাকতে না পারে।”
অনুষ্ঠান ঘিরে ভেন্যু এলাকার সড়কে ডাইভারশন থাকবে। এ ক্ষেত্রে সকলকে সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সফল করার জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ কমিশনার।