ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
আগামীকাল
Published : Monday, 11 October, 2021 at 12:00 AM
আগামীকালশাহীন শাহ্ ||
জীবনের প্রয়োজনে বেঁচে থাকবার প্রত্যাশায় মানুষ টিকে থাকার জন্য মরণপণ লড়াই করে। কোন আধ্যাত্মিক  কারণ ভরসার জায়গা নয়। ভরসার জায়গাটা সুমসৃণ করতে যতসব প্রার্থনা তাদের । অভাবক্লিষ্ট জীবনের প্রতিটি ভোরই অনিশ্চয়তায়ঘেরা দিয়ে যাত্রা। গতকালটা যেভাবে কেটেছে আগামীকালটা তাদের সেভাবে কাটবে তার নিশ্চয়তা দেবে কে? বিশ্বের প্রতিটি ভূ-খণ্ডের বসতিতে সমানতালে জীবনটা যাপিত হবে তা আশা করা মুশকিল। যেখানে সকালের সূর্যের নিশ্চয়তা আছে, কর্মের নিশ্চয়তা নেই, সেই পরিবেশে সুন্দর জীবন প্রত্যাশা করা দুরুহই বটে। গতকাল যেটি খবরের শিরোনাম হয়, বর্তমানে এর চেয়ে আরো বড় ঘটনা জন্ম নিয়ে গতকালের শিরোনামটি তলিয়ে যায়। এভাবে দিনকে দিন শিরোনামের তলে শিরোনাম হারায়। প্রতিদিন খবরের কাগজে প্রিন্ট মিডিয়ায় কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় লোমহর্ষক ঘটনার শিরোনাম দেখি। পরের দিন আরেকটা বড় লোমহর্ষক ঘটনা শিরোনাম হয়ে পূর্বের শিরোনামটি আঁড়াল করে দেয়। আমার কোন লোমহর্ষক ঘটনার শিরোনাম মনে থাকেনা। না মনে থাকার কোন কারণ নেই। অর্থনৈতিক চরম বৈষম্যের কারণে মানুষে  মানুষে যে বিভেদ তৈরী হয়, যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়, তা থেকে মুক্তি পেতে মানুষের কোন পথই খোলা থাকে না। গোটা দুনিয়া পুঁজিবাদের খপ্পরে নিমজ্জিত। অর্থ-বিত্তের বৈষম্যের কারণে বিকলাঙ্গ সমাজে বিকলাঙ্গ মানুষের হাট দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুঁজিবাদের ভৃত্যে পরিণত আজ অসংখ্য মানুষ। দুর্নীতি দুর্বিত্তায়ন ও দুষ্ট রাজনৈতিকচক্র কলুষিত করে ফেলেছে গোটা মানব সমাজকে। টাকা কামানোর অভিনব কৌশলের কাছে পিষ্ট হচ্ছে দুর্বলচিত্তের মানুষেরা। চলছে অর্থ পাচারের অস্থির প্রতিযোগীতা। কানাডায় বেগম পাড়া, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম বানানো যেন তাদের স্বপ্ন। এটম বোমা আবিষ্কারের পেছনে আইনস্টাইনের প্রেরণা কার্যকর ছিল, ওই আবিষ্কার ধ্বংসের কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। ব্যবহারের সিদ্ধান্তটা বিজ্ঞানীরা নেননি। যুদ্ধরত রাজনীতিকেরাই নিয়েছেন। বিজ্ঞান কিভাবে ব্যবহার হবে সেই সিদ্ধান্ত রাজনীতিকেরাই নিয়েছেন। কারা হবে সেই রাজনীতিক? হিটলার নাকি লেনিন, এই প্রশ্নটা তাই খুবই জরুরি হয়ে দেখা দেবে। বোধকরি পৃথিবীর মানুষেরা লেনিনকে চাইবে এবং হিটলারকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে। আমাদের এই ভূ-খণ্ডটি তিনটি মানচিত্র পেয়েছে কিন্তু কোন মানচিত্রেই সুখ আসেনি। যেমন বৃটিশ শাসনে ভারতের মানচিত্রে আমাদের ঠাঁই হয়। তারপর বৃটিশ গেল, এলাম পাকিস্তানের মানচিত্রে কিন্তু সাধারণ মানুষের মুক্তি এলো না। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে সফলতা পেলাম। সারা  বিশ্ব তাকে স্বীকার করে নিল কিন্তু এখনো এদেশের বেশিরভাগ মানুষ অশিক্ষিত। তারা ভাষা ব্যবহার করতে জানেনা। তাদের স্থায়ী ভাষা হচ্ছে আর্তনাদ আক্ষেপ আর ক্রন্দন। এরা কখনো নীরবে কাঁদে কখন ও উঁচুস্বরে। নীরব চোখের জলবৃষ্টিই এদের আসল মূলধন আসল রোজনামচা। সবশেষে প্রিয় মাতৃভূমির প্রিয় ভূ-খণ্ডটি ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই, নেই কোন সংকোচবোধ এদেশের কোটি কোটি মুক্তিকামী মানুষ আজও মুক্ত হয়নি। আমাদের পরিচয় মানচিত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমাদের আসল অসন্তুষ্টির জায়গাটা হচ্ছে বিত্তবান ও বিত্তহীনদের নিয়ে। বিত্তবানরা আরো বেশি বিত্তশালী হচ্ছে। বিত্তহীনেরা সংখ্যায় আরোবেশি বিত্তহীন হচ্ছে। বিশিষ্টি শিক্ষাবিদ প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সাতচল্লিশ যাদেরকে সাহায্য করেছে বিত্তবান হতে, বাহাত্তরের পর দেখা গেল তারাই আবার বিত্তবান হচ্ছেন। সাধারণ মানুষ সাতচল্লিশে ভোট দিয়েছে মুক্তির আশায়, মুক্তি পায়নি। একাত্তরে যুদ্ধ করেছে মুক্তির আশায় কিন্তু মুক্তি পায়নি”। দুর্বিত্তায়নের চরম অ-ব্যবস্থাপনার কারণে কোটি কোটি মানুষের মধ্যে অল্প কিছু লোক ধনী হবে অধিকাংশ লোককে গরিব করে। চলমান আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার রীতি এবং নীতি  উভয়ই ভাঙ্গতে হবে। নইলে বিত্তহীন মানুষেরা উঠে দাঁড়াতে পারবেনা। কার্যত এরা কোনভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারছেনা। দিনে দিনে মেরুদণ্ডহীন প্রাণিতে পরিণত হচ্ছে। জীবনের মোহনীয় আলোর পথটা অল্প সংখ্যক ধনকুবেরের হাতেই পাকাপোক্ত হয়ে যাচ্ছে। বিশাল একটা অংশজুড়ে অন্ধপথে নিমজ্জিত হচ্ছে। ফলে রাষ্ট্রের উন্নয়নের কোন সূচকই সঠিক পরিমিতি বয়ে আনবেনা। পুঁজিবাদ শুধু সমাজের বৈষম্য সৃষ্টি করেনা এদের আচরণের নৃশংসতা কতটা ভয়ঙ্কর তা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অমিয় সৃষ্টি ‘আখ্যানমঞ্জুরী বইতে একটি গল্পে বর্ণনা আছে। গল্পটি অর্থলোলুপ এক ইংরেজ যুবকের নির্মমতার কাহিনী। টাকার লোভে সে আমেরিকায় গেছে। অন্য যাত্রীদের সঙ্গে জাহাজ থেকে নেমে আমেরিকার মাটিতে পা রেখেছে কি রাখেনি অমনি স্থানীয় মানুষেরা এই শ্বেতাঙ্গদেরকে দল বেঁধে আক্রমণ করেছে। কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ঐ ইংরেজ যুবক টমাস ইঙ্কল তার নাম, গভীর অরণ্যে আশ্রয় নিয়েছিল। আহার ও আশ্রয় খুঁজতে খুঁজতে যুবক ইঙ্কল যখন মৃত্যুর প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছে, তখন আদিবাসীদের রাজকন্যা ইয়ারিকো তাকে দেখতে পায়। রাজকন্যা শ্বেতাঙ্গ  যুবকটিকে পাহাড়ের গুহায় নিয়ে গেল। তার শুশ্রুষা করল, আহার এনে খাওয়াল। সেবা-যত্নে যুবক সুস্থ ও সবল হয়ে ওঠে। রাজকন্যার সঙ্গে তার ভাব হয়। তারা দুজনে স্বামী-স্ত্রীর মতো জীবন-যাপন শুরু করে, গোপনে। এর মধ্যে একদিন সমুদ্রে ইংরেজদের একটি জাহাজ দেখা যায়। নানা সংকেতের সাহায্যে ইঙ্কল জাহাজটির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়। জাহাজ কূলে এসে থামে এবং ইংরেজ ইঙ্কল ও তার আদিবাসী স্ত্রীকে তুলে নেয়। ওটি ছিল ব্যবসায়ীদের  জাহাজ। এক বন্দরে  এসে জাহাজটি ভিড়লে আদিবাসীরা এসে খোঁজ নেয়, জাহাজটিতে আদিবাসী বিক্রয়যোগ্য কোন আদিবাসী আছে কি-না। রাজকন্যা ইয়ারিকোর ওপর তাদের  চোখ পড়ে এবং সঙ্গত কারনেই সঙ্গী শ্বেতাঙ্গ যুবক ইঙ্কলকে তারা মনে করে মেয়েটির মালিক। কতদামে নেবে? তারা জানতে চায়। ইঙ্কলতো আকাশ থেকে পড়েছে। যে নারী তাকে আশ্রয় দিয়েছে, সেবা করেছে এবং প্রণয়ে আবদ্ধ হয়ে আত্মীয়স্বজন ত্যাগ করে  তার সঙ্গে ইংল্যান্ড যাচ্ছে, তাকে সে বিক্রি করে  দিবে এমন কথা ওঠে কি করে? দাস ব্যবসায়ীরা দমে না, দাম চড়াতে থাকে। এর ফলে দেখা গেল যুবকের মনে নতুন ভাবের উদয় হচ্ছে। বিবেচনা করে  সে দেখল যে, মেয়েটির জন্য তার বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। ওর সঙ্গে যদি দেখা না হতো তাহলে কোনো না কোনো উপায়ে সে আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ সমাজে উপস্থিত হতে পারত। তবে তো আর কথাই ছিলনা, তার ভাগ্য একেবারে উল্টে যেত। সে ভাবল যা হবার হয়েছে, এখন একে বিক্রি করে  আদায় করিনা কেন। বিদ্যাসাগর লিখেছেন, “রাজকন্যা ইয়ারিকো এই সর্বনাশা উপস্থিত দেখিয়া বার বার বৃত্তান্ত স্মরণ করাইতে লাগিল। ইঙ্কল তাহাতে কর্ণপাত করিলনা।” এর পরে স্ত্রী ইয়ারিকো তাকে বলে, তোমার সহযোগে আমার গর্ভ হইয়াছে। অন্তত প্রসবকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করো। এমন অবস্থায় আমার প্রতি এইরূপ নৃশংস আচরণ করা তোমার উচিত নয়।” এই অনুনয় শুনে শ্বেতাঙ্গ যুবকটির মনে বিন্দুমাত্র করুনার উদ্রেক হয়নি। স্ত্রী গর্ভবতী সে বরঞ্চ খুশীই হলো। কেননা সে দেখল ওই যুক্তি দেখিয়ে দাস ব্যবসায়ীদের  কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা সম্ভব হবে। সেটা সে পেলোও। ব্যবসায়ীরা রাজকন্যাকে ক্রীতদাসী হিসেবে অধিকমূল্যে ক্রয় করে স্বস্থানে প্রস্থান করিল। এই যে অর্থের লোভ, বিত্তবান হওয়ার লোভ, কালের বিবর্তনে সমকালে এসেও অতি প্রাসঙ্গিক বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষের শ্রমের মূল্য ও মর্যাদা কমবে পক্ষান্তরে বিত্তবানদের  দুর্বিত্তপনা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাবে এটাই রীতি এটাই নীতি। দেশের জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ শ্রমজীবী। এই শ্রমজীবীদের একটা বিরাট অংশ ভাসমান শ্রমজীবী এদের গতকালটা যেভাবে কাটে, আগামীকালটা একেবারেই অনিশ্চিত। আগামীর ঘোর  তাদের কাটেইনা। চরম অনিশ্চিত তাদের আগামীকালটা। কর্মে নিশ্চয়তা এবং শ্রমের মর্যাদা যেখানে  অনুুপস্থিত, সেখানে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন যাপিত জীবন আশা করা দুরুহই বটে। প্রতিদিন প্রতিটি ভোর হলে দেখতে পাই শহরের কেন্দ্রপথে  শ্রমজীবী মানুষ তাদের গতর বিক্রির জন্য দুটি পয়সা আয় রোজগারের জন্য, কাস্তে, কোদাল হাতে মলিন মুখে রাস্তার ধারে জমায়েত হয়। এই দৃশ্য শহরে, বন্দরে, নগরে কিংবা হটে-বাজারে দৃশ্যমান হয়। যেন  ফুটপাত তাদের গতর বিক্রির আসল জায়গা। এ যেন শ্রমবাজার নয়, যেন মানুষ বিক্রির হাট। অর্থনৈতিক বৈষম্যের কবলে পতিত এইসব মানুষেরা। এদের প্রতিটি ভোর যেন অন্ধকারে ঢাকা। সকালের পূব আকাশের সোনালী সূর্য এদের আলোকিত করেনা। তরকারী বাজারের পরিবেশ আছে, মাছ বাজারের পরিবেশ  আছে, এদের গতর বিক্রির বাজরের পরিবেশ নাই। এদের ঠাঁই হয় ফুটপাতের কিনারে। কোদাল কাস্তে হাতে দাঁড়িয়ে চেয়ে থাকতে হয় অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে। যেন দেহই তাদের আসল মূলধন। যেন তাদের স্বপ্ন দেখা নিষেধ।  তাদের স্বপ্নের জায়গাটা দুর্বিত্তায়নের কবলে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভরাট উপস্থিতি ছিল। তারা স্বপ্ন দেখেছিল তারা মুক্তি পাবে। অর্থনৈতিক মুক্তি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই ছিল আসল গৌরবের জায়গা। দেশ স্বধীন হয়েছে, শ্রমজীবী মানুষের স্বাধীনতা আসেনি। মৃত্যু তাদের যন্ত্রণা দেয় না, যন্ত্রণা দেয় যাপিত জীবনের প্রতিটি  সিঁড়ি। ভাসমান শ্রমজীবীরা এতটাই গরীব, এমনই বন্দী, সেই আদিম বন্ধনে, যে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বলতে কিছুই নেই। এতসব হাজারো প্রতিন্ধকতার মাঝে আশার কথা হচ্ছে, আমাদের শ্রমজীবী মানুষেরা তাদের ঘাম ঝরানো শ্রম দিতে চায়,এর প্রমাণ দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশের শ্রমবাজারে আমাদের শ্রমিকেরা যথেষ্ট্র সুনামের সহিত তাদের সর্বোচ্চটা দিচ্ছে। অর্থনৈতিক বৈষম্যের হাত থেকে মুক্তি পেতে সবার আগে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। গুরুত্ব দিতে হবে সৃষ্টিশীলতায়। সৃষ্টিশীলতা কমছে বলেই সমাজে অপরাধ বেড়েছে। আসলে সৃষ্টির পথ যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখন অপসৃষ্টি দেখা দেয়। সৃষ্টির পথ সুগম রাখতে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে। শ্রেণি বৈষম্য, দুর্বিত্তায়ন এবং প্রশাসনিক দুর্বিত্তায়ন বন্ধ হলে, আশা করতে পারি বিত্তহীন কমবে। তাদের আগামীকালের অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি আসবে। ফিরে আসবে সাম্যের পরিবেশ, ফিরে আসবে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। রবীন্দ্রনাথের উক্তিটিই হোক সব মানুষের ভাবনার জায়গা ‘‘শিল্পীর জগতে যে নিয়ম, বিধাতার জগতেও  তাই”। সৃষ্টির উৎস ও চরম লক্ষ্য যে নি:স্বার্থ আনন্দ দেয়, তাহা লাভ করিতে হইলে,  অহমের কবল হইতে মুক্ত হওয়া চাই। রক্ষকের চূড়ান্তরুপ ভক্ষকে, শাসকের মনোভাব যদি নৈতিকতা বির্বজিত সংকীর্ণচিত্ত, প্রতিহিংসাপরায়ণ, মমতাহীন, করুণাহীন হৃদয়? হয়, তাহলে আক্ষেপকরে বলতে হয়, যারা মরেছে, বৃথা মরেছে, আর যারা বেঁচে আছি, বৃথা বেঁচে আছি, জীবনের অর্থ আবিষ্কারে ও প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হইনি আমরা।
(আবুল কাশেম ফজলুল হক)

লেখক: অধ্যাপক, কলাম লেখক ও প্রাবন্ধিক।