
কিছু
যদি-কিন্তুর ওপর ভাগ্য নির্ভর করলেও বাংলাদেশকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের
ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতেই হবে। জয়
ছাড়া অন্য যে কোনো ফলই বাংলাদেশের বিদায়ঘন্টা বাজাবে। ৫ দিন বিশ্রাম পাওয়া
জামাল ভূঁইয়াদের নিয়ে তাই আলাদা পরিকল্পনাই করতে হবে স্প্যানিশ কোচ অস্কার
ব্রুজনকে।
মালদ্বীপের কাছে হারের পর দুইদিন বিশ্রামেই ছিলেন খেলোয়াড়রা।
হোটেলে জিম আর সুইমিং ছিল তাদের রুটিনওয়ার্ক। রোববার থেকে নেমে পড়বেন
অনুশীলনে। নেপালকে কিভাবে বধ করা যায়, কোচের কাছে সেই মন্ত্রই শিখবেন জামাল
ভূঁইয়ারা।
দলের সিনিয়র খেলোয়াড় গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন,
‘সামনে নেপালের বিপক্ষে যে ম্যাচ তা নিয়েই আমাদের সব পরিকল্পনা। মালদ্বীপ
ম্যাচের পর দুইদিন বিশ্রামে ছিলাম। রোববার থেকে অনুশীলন। আমাদের সামনে ভালো
একটা সুযোগ থাকবে যদি নেপালকে হারাতে পারি। এবারের সাফ অনেক
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। এখানে সবার জন্য সুযোগও আছে। আমরা চেষ্টা
করব। খেলোয়াড়রা সবাই এখন উৎফুল্ল আছে।’
মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে এসে সমর্থন দেবে বলে প্রত্যাশা রানার,
‘মালদ্বীপে যারা প্রবাসী আছেন, তারা অবশ্যই মাঠে এসে উৎসাহ দেবে। দেশবাসীর
কাছে দোয়া চাই, যাতে নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি করতে
পারি।’
দুই হলুদকার্ডে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারবেন না ভারতের
বিপক্ষে গোল করা ইয়াসিন আরাফাত। তবে ইয়াসিনের না থাকায় তেমন কোনো সমস্যা
হবে না মনে করছেন রানা।
জাতীয় দলের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক বলেন, ‘তার না
থাকায় বড় ধরনের কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, আমাদের দলের সবার একাদশে খেলার
সামর্থ্য আছে। রাকিব আর বিশ্বনাথ এই ম্যাচে ফিরবে। সবাই যদি নিজেদের সেরাটা
খেলতে পারে, তাহলে অবশ্যই নেপালের সাথে জিততে পারবো।’