পয়াতের জলায় আউশ চাষ দেশের খাদ্যভান্ডারে যোগ হলো অতিরিক্ত ৪০ মে: টন ধান
Published : Friday, 3 September, 2021 at 12:00 AM, Update: 03.09.2021 1:46:32 AM

পয়াতের জলার জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই ফসলী জমি তিন ফসলীতে উন্নীত করণ শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে গৃহিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৯ হেক্টর মৌসুমি পতিত জমি নতুন করে আউশ আবাদের আওতায় এসেছে। দেশের খাদ্য ভান্ডারে যুক্ত হয়েছে প্রায় ৪০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান। সার্বিক কার্যক্রমের মূল পরিকল্পনা গ্রহন করেন বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ বানিন রায়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে কাজে সহযোগিতা করেছেন একই উপজেলার উপসহকারী কৃষি অফিসার মো: মিজানুর রহমান ও মো: সাহেদ হোসেন। এ বিষয়ে কৃষিবিদ বানিন রায় জানান- পয়াতের জলায় আউশ আবাদে কৃষকদের আনন্দের পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই ধারাবাহিকতায় পয়াতের জলায় আগামীতে আউশ আবাদ বৃদ্ধি পাবে। পয়াতের জলায় উফসী নতুন জাতের সম্প্রসারণ ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত থাকবে। ভাল ফলন নিশ্চিত করতে পারলে কৃষকেরা আউশ আবাদ অব্যাহত রাখবেন। পয়াতের জলার বিভিন্ন মাঠে শষ্যের নিবিড়তা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আউশ আবাদে আগ্রহী কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে আউশ প্রনোদনা হিসেবে ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লা কর্তৃক প্রদত্ত্ব ব্রি ধান-৮৫ এর ৪টি প্রদর্শণী, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা প্রদত্ত্ব বিনাধান-১৯ এর দুটি প্রদর্শণীতে ৫০ কেজি বীজ সহায়তা ও উপজেলা কৃষি অফিসারের বীজ উপহারের আওতায় সর্বমোট ৪০ জন কৃষককে উপকরণ সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। উল্লেখ্য করোনার মহামারির কঠিন সময়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা ও মৌসুমি পতিত জমিতে আউশ আবাদ বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পয়াতের জলার খাল খনন করে জলাবদ্ধতা নিরসন করে পতিত জমিতে আউশ আবাদ বাস্তবায়ন করা হয়। পূর্বে যেখানে দুই ফসল পাওয়া যেতো এ বছর থেকে আউশ ফসল সহ তিন ফসল ধান উৎপাদন করা হচ্ছে।