প্রথম দিনই বড় অঘটন টেনিসের বিশ্বকাপখ্যাত উইম্বলডনে। ফ্রেঞ্চ ওপেনের রানার্সআপ স্টিফানোস সিসিপাস ছিটকে গেলেন প্রথম রাউন্ড থেকেই। সরাসরি সেটে সিসিপাসকে হারালেন আমেরিকার ফ্রান্সিস টিয়াফো।
অন্যদিকে মেয়েদের সিঙ্গলসের প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গেলেন সাবেক চ্যাম্পিয়ন পেত্রা কেভিতোভাও। তবে দুই অঘটনের দিকে প্রথম রাউন্ডে জয় দিয়ে শুরু করলেন ব্রিটিশ টেনিস তারকা অ্যান্ডি মারে। যদিও তাকে জয়ে পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
মারের প্রতিপক্ষ ছিল জর্জিয়ার নিকোলোজ ব্যাসিলাসভিলি। প্রথম দুই সেটে ৬-৪, ৬-৩ উড়িয়ে দিলেও ধাক্কা খান তৃতীয় সেটে। ঘুরে দাঁড়ান নিকোলোজ। ৭-৫-এ সেটটি জিতে নেন জর্জিয়ার এই টেনিস তারকা।
কিন্তু চতুর্থ সেটে ফের ছন্দে ফেরেন অ্যান্ডি মারে। চতুর্থ সেটে তিনি ৬-৩ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে যান। প্রসঙ্গতঃ চোট সমস্যার কারণে ফরাসী ওপেনে অংশ নেননি মারে।
এদিকে যে তারকা খেলোয়াড়টি ফরাসী ওপেনের ফাইনালে নোভাক জকোভিচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করেছিলো, সেই স্টিফানোস সিসিপাস উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ডে কার্যত আত্মসমর্পণ করেন ফ্রান্সিস টিয়াফোর কাছে। গ্রিসের স্টিফানোস সিসিপাসকে সরাসরি সেটে উড়িয়ে দেন টিয়াফো। সম্ভবত লড়াই করারও চেষ্টাটুকু করেননি সিসিপাস। ৬-৪, ৬-৪, ৬-৩ ব্যবধানে ম্যাচ হেরে উইম্বলডনের মঞ্চ থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হল সিসিপাসকে।
বোদ্ধাদের ধারণা ছিল, ফ্রেঞ্চ ওপেনের ধাক্কা সামলে হয়তো অসাধারণভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন সিসিপাস। কিন্তু সে সব কিছুই ঘটল না। প্রসঙ্গতঃ গতবারও উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল সিসিপাস। এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
নারীদের সিঙ্গলসে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন পেত্রা কেভিতোভাও ম্যাচের শুরু থেকে একেবারে ছন্দে ছিলেন না। এ বারের উইম্বলডনের দশম বাছাই কিভিতোভাকে ৬-৩, ৬-৪ সেটে সহজেই হারিয়ে দেন স্লোন স্টিফেন্স।