গত মাসে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই দলের কর্মীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে কর্মীদের আন্দোলনে নামাতে চেয়েছে বিজেপি। কিন্তু সেই ভাবে দানা বাঁধেনি সে আন্দোলন। এ বার সেই আন্দোলনকে বুথ স্তরে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য বিজেপি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, বিজেপির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি চলায় বড় রকমের আন্দোলন কর্মসূচির পথে না হেঁটে জেলায় জেলায় ছোট ছোট বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের নির্দেশিত বিধি-নিষেধ মেনে ছোট জমায়েতের মাধ্যমে হবে আন্দোলন। ইতিমধ্যেই সব জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, যেখানে যেভাবে সম্ভব বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করতে হবে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে আরও বলা হয়, ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাব মেনেই এই দিবসের ঘোষণা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সেই থেকে এই দিনটি পালন করে আসছে বিজেপিও। এই রাজ্যেও প্রতি বছর যোগ দিবসে বড় জমায়েত করে বিজেপি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলায় এবার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যোগ দিবসে গোটা দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিয়েছে। সেই সর্বভারতীয় কর্মসূচির মধ্য দিয়েই রাজ্যের সংগঠনকে তিনি চাঙ্গা করতে চান বলে দলকে জানিয়েছেন দিলীপ।
কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে বিজেপির নতুন পরিকল্পনা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘন ঘন সফর দিয়েও রাজ্য জয় করতে পারেনি বিজেপি। নির্বাচনী প্রচারণায় দুই শতাধিক আসনে জয়ের ঘোষণা দিয়ে ৩ অংকের ঘরেও পৌঁছাতে পারেনি উগ্র হিন্দুত্ববাদী এ দলটি। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক হতাশা বিরাজ করছে।
এর মাঝে আবার নতুন সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে দলের নেতাকর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের খবর।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে আরও বলা হয়, ২১ জুন থেকে রাজ্যজুড়ে বৃক্ষরোপণ করতে চায় বিজেপি। নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর এই প্রথম কোনও রাজ্য স্তরের কর্মসূচি। তার মধ্য দিয়েই যেন দলের দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে বদল আনতে চাইছে গেরুয়া শিবির। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে কার্যত লকডাউন। বিজেপি-র রাজনৈতিক আন্দোলনেও লকডাউন চলছে বলেই রসিকতা শোনা যাচ্ছে দলের অন্দরে। এ বার সেটাও নাকি ভাঙতে চলেছে। ২৩ জুন থেকে টানা কর্মসূচি নিয়েছে দল।
বিধানসভা ভোটের পরে হতাশ কর্মীদের কাজের মধ্যে আনতে বৃক্ষরোপনের মতো অরাজনৈতিক কর্মসূচিকেই হাতিয়ার করতে চান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।