কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত, হযরত ওসমান (রাযি:) হইতে বর্ণিত রাসুল (স:) এরশাদ ফরমান তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে নিজে কোরআন শরীফ শিখে এবং অপর কে শিক্ষা দেয়। মোল্লা আলী ক্বারী। অপর একটি হাদিস হইতে নকল করিয়াছেন, যে ব্যক্তি কালামে পাক হাসিল করিল সে যেন নিজের কপালে নবুয়তের এলেম জমা করিল। হযরত সহল তুস্তুরী (রহ:) বলেন আল্লাহ তা’লার প্রতি মুহাব্বতের আলামত হল, অন্তরে তাহার কালামের প্রতি মুহাব্বত হওয়া। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাযি:) হতে বর্নিত: রাসুল (সা:) এরশাদ ফরমান তিনটি জিনিস ক্বেয়ামতের দিন আরশের নিচে থাকিবে। এক কালামে পাক। উহা সেই দিন বান্দার ব্যাপারে ঝগড়া করিবে, এই কুরআনের জাহেরও বাতেন দুইটি দিন রহিয়াছে। দুই. আমানত তিন. আত্মীয়তা। ইহা সেই দিন উচ্চ আওয়াজে বলিতে থাকিবে, যে ব্যক্তি আমাকে রক্ষা করিয়াছে। আল্লাহতালা তাহাকে আপন রহমতের সাথে মিলাইয়া দিন। আর যে ব্যক্তি আমাকে ছিন্ন করিয়াছে আল্লাহতালা তাহাকে আপন রহমত রহমত হইতে পৃথক করিয়াছেন। কালামে পাকের ঝগড়া করার অর্থ হইল যাহারা কোরআনকে পুরোপুরি মানিয়াছে উহার হক আদায় করিয়াছে এবং উহার উপর আমল করিয়াছে, তাহাদের পক্ষে আল্লাহতালার দরবারে জোর সুপারিশ করিবে। তাহাদের মর্তবা বুলন্দ করিবে। হযরত আলী (রাযি:) রাসুল (স:) এরশাদ নকল করিয়াছেন, যে ব্যক্তি কুরআন পড়িল অত:পর উহা হিফজ ইয়াদ করিল এবং উহার হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জানল, আল্লাহতালা তাকে জান্নাতে দাখিল করিবেন এবং তাহার পরিবারের এমন দশ জন লোকের জন্য তাহার সুপারিশ কবুল করিবেন যাহাদের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হইয়া গিয়াছে। অতএব মাহে রমজান কোরআন নাযিলের মাসে আল্লাহতালা আমাদের সকলকে বেশি বেশি কোরআন পড়ার বুঝার ও আমল করার তাওফীক দান করুন।