
আইপিএলে সাকিবের খরুচে বোলিংয়ের দিনে আরও একটি হার দেখলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে তারা হেরেছে ৩৮ রানে! এই জয়ের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচ জিতলো ব্যাঙ্গালোর।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক কোহলি শুরুতেই বলেছিলেন, স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান চান তিনি। কিন্তু ব্যাঙ্গালোরের শুরুর দিকের চিত্র দেখলে বোঝার উপায়ই ছিল না, এই দলটিই রানের পাহাড় গড়বে। ৯ রানে হারিয়ে বসে দুটি উইকেট! মাত্র ৫ রানে ফিরেছেন অধিনায়ক কোহলি।
সেই দলটিকেই মাথা তুলে দাঁড় করিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। ম্যাক্সওয়েল ঝড় তুলে ৪৯ বলে ফিরেছেন ৭৮ রান করে। তাতে ছিল ৯টি চার ও ৩টি ছয়। ডি ভিলিয়ার্সও কম ছিলেন না। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। ৩৪ বলে অপরাজিত থেকেছেন ৭৬ রানে। তার ঝড়ো ইনিংসে ৯টি চারের বিপরীতে ছিল ৩টি ছয়। এই দু’জনের ঝড়েই ৪ উইকেটে ২০৪ রানের ইনিংস গড়ে ব্যাঙ্গালোর।
সাকিব অবশ্য পাওয়ার প্লেতে দুই ওভার করতে এসেই ধরা খেয়েছেন পুরোপুরি। খরুচে বোলার বনে যাওয়ায় তাকে পরে আর বোলিংয়েই আনা হয়নি! প্রথম ওভারের প্রথম বলেই খেয়েছেন বাউন্ডারি। দিয়েছেন ৭ রান। দ্বিতীয় ওভারে তো ছিলেন আরও খরুচে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে দিয়েছেন ১৭ রান! ২ ওভারে দিয়েছেন মোট ২৪ রান।
জবাবে এত বড় লক্ষ্যের বিপরীতে কেকেআরের ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস তো দূরে থাক, ঝড়ও তুলতে পারেনি। বরং নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে।
সাকিব ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন যদিও, কিন্তু সেটি টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। জেমিসনের বলে বোল্ড হয়েছেন ২৬ রানে। খেলেছেন ২৫টি বল! তাছাড়া সেভাবে স্ট্রাইক রোটেট করতেও দেখা যায়নি।
শেষ দিকে সাকিবের সঙ্গী হয়ে আন্দ্রে রাসেল কিছু শটস খেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনিও ২০ বল খেলে সাজঘরে ফিরেছেন সর্বোচ্চ ৩১ রান করে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করতে পেরেছে কলকাতা।
কলকাতাকে আটকে রাখতে ৪১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন কাইল জেমিসন। দুটি করে নিয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল ও হার্শাল প্যাটেল। একটি নিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।