
দোকান খুলে রাখার দাবিতে রাজশাহীর বস্ত্র ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউনের তৃতীয় দিন বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর সাহেববাজারে বিক্ষোভ করেন তারা।
এর আগে সকালেই তারা দোকান খোলেন। কিন্তু পরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জরিমানা করতে গেলে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা ঘোষণা দেন, কাউকে জরিমানা করা হলে আন্দোলন জোরদার হবে। ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে পড়ায় ম্যাজিস্ট্রেট কাউকে জরিমানা করেননি।
ম্যাজিস্ট্রেট চলে যাওয়ার পরই ব্যবসায়ীরা দোকান খোলেন। তবে ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। দুপুর পর্যন্ত আর কেউ তাদের দোকান খোলার ব্যাপারে বাধা দেয়নি। এর আগে দোকান খোলার দাবিতে গত সোমবার আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে পড়েন। তারাও রাস্তায় শুয়ে পড়েন।
বুধবার ম্যাজিস্ট্রেট দেখেই আন্দোলন প্রসঙ্গে রাজশাহী বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অশোক কুমার বলেন, শহরের আরডিএ মার্কেট, বিনোদপুর, কোর্টবাজারসহ অন্যান্য এলাকার সব দোকানপাট খোলা। তাই আমরাও সকাল থেকে একপাল্লা, দুইপাল্লা তুলে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। একটু পর ম্যাজেস্ট্রট আসেন। তিনি জরিমানা করতে শুরু করেন।
আমরা তাকে বোঝালাম যে, করোনায় আমরাও নাজেহাল, ধার-দেনা করে মাল তুলেছি। করোনার ভেতর ব্যবসা খারাপ। হঠাৎ লকডাউন আসবে বুঝতেও পারিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা ব্যবসা করতে চাই। তারপর ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেছেন। আমরাও অর্ধেক শাটার তুলে ব্যবসা করছি, কিন্তু ক্রেতা কম।
এদিকে লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজশাহীর পরিবেশ অনেকটাই স্বাভাবিক লক্ষ্য করা গেছে। শহরের ভেতর রিকশা-অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক দেখা গেছে। সাহেববাজার এলাকায় ছিল অন্যান্য দিনের মতোই যানজট। অল্পসংখ্যক দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। মানুষের চলাচলও ছিল স্বাভাবিক।