
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য এবং গুজব প্রতিরোধে সোচ্চার থাকবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট ফেসবুক। দেশটির চারটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কয়েক ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ফেসবুক জানিয়েছে, তারা অনলাইনে এমন বিদ্বেষ ছড়াতে দেবে না, যা অফলাইনে ক্ষতির কারণ হতে পারে। ৩০ মার্চ ব্লগপোস্টে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
ভারত ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বৃহৎ বাজার। এর মধ্যে দেশটিতে ফেসবুকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সবচেয়ে জনপ্রিয়। যার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন।
যদিও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ আছে। গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের সময় মাসব্যাপী ফেসবুক কড়া নিয়ন্ত্রণে ছিল। রাজনৈতিক তথা নির্বাচন সংক্রান্ত পোস্ট এবং বিজ্ঞাপনে ভুল তথ্য প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থানে ছিল।
গত বছর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ভারতের ফেসবুক নিয়ন্ত্রণের প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশটির ফেসবুকের লবিস্টরা থেমে গেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইনে বিরোধী মত দমন করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির পক্ষে কাজ করেছে ফেসবুক।
ওই প্রতিবেদনের পর বিরোধী দলগুলো ফেসবুকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। অন্যদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তোপের মুখে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতি দেয়।
ভারতের চলমান এ রাজ্যগুলোর নির্বাচন বিজেপির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরালা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পন্ডিচেরির নির্বাচনে মোদির জনপ্রিয়তাও যাচাই হবে। কৃষি আইন সংস্কারের বিরুদ্ধে দেশটির চলমান কৃষক আন্দোলন নিয়ে এমনিতেই দেশে এবং দেশের বাইরে মোদির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
ফেসবুক জানিয়েছে, ভারতের এ রাজ্যগুলোর নির্বাচনের সময় যে পোস্টগুলো ভাইরাল হবে, নির্বাচনী সহিংসতা উসকে দেবে আমরা আমাদের সক্রিয় শনাক্তকরণ প্রযুক্তির সাহায্যে এগুলো চিহ্নিত করবো।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, নির্বাচনের নির্ধারিত দিনগুলো তারা ভোটারদের সঠিক তথ্য দিতে এবং সেগুলো ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতেও অনুরোধ জানাবে।