
মানিক দাস ॥ টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে ও ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ মার্চ বুধবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত ২৭ মার্চ বিকেল অনুমান ৩টার দিকে টাঙ্গাইল মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে জেলা কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। তিনি গত ২২ মার্চ ওই হাসপাতালের ১১নং কেবিনে ভর্তি হয়ে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। ২৭ মার্চ তার স্বামী মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিজান ভোলা মহাজনপট্টি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক শাখায় কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি পাবনার হেমায়েতপুর চরভাঙ্গারিয়া গ্রামে। রেদওয়ানা ইসলাম হত্যার পর থেকে ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছে। কুমুদিনী হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিজানকে হত্যার পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। নিহত খন্দকার রেদোয়ানা ইসলামের ছোট ভাই ঘটনার পর রাতেই মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ঘাতক স্বামী এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা শিল্পী ও সাংষ্কৃতিক কর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালণ করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য শহীদ পাটওয়ারী, রূপালী চম্পক, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি তপন সরকার, বর্ণমালা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা লিটন ভূইয়া, বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মৃনাল সরকার, কবি ও লেখক ডাঃ পীযুষ কান্তি বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু আবৃতি পরিষদের সভাপতি মুক্তা পীযুষ, কন্ঠশিল্পী ইতু চক্রবর্তী, চাঁদপুর ড্রামার পরিমল দাস নুপুর, এ.কে.আজাদ, নজরুল ইসলাম রনি, পলাশ মজুমদার, মোহনবাঁশি স্মৃতি সংষদের সভাপতি অজিত দত্ত, মেঘনা থিয়েটারের সভাপতি তবিউর রহমান রিংকু, উদীচী চাঁদপুর জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, জাকির হোসেন মিয়াজী, সুরধ্বনি সংগীত একাডেমির উপদেষ্টা বিপ্লব কুমার কর্মকার, সরলিপি নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম.আর ইসলাম বাবু, অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসাইন প্রমুখ। পরে শিল্পীগণ ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বারকলিপি প্রদান করেন।