কুমিল্লা -৫ (বুড়িচং -ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের ৪ বারের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ ইউনুসকে সোমবার কুমিল্লা মহানগরীর টাউন হল বুড়িচং -ব্রাক্ষণপাড়ার ৪ স্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার দেয়া শেষে তার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন এর গোবিনাথ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
তিনি শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন (ইন্না-লিল্লাহি ও্যা....... রাজিউন) মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ । তিনি পত ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখ বার্ধক্য জনিত রোগে, নিউমোনিয়া ওডিমেনশিয়া রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভোগছিলেন। মৃত্যু কালে তিনি ৫ ছেলে ২ মেয়ে নাতি নাতনি সহ রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য নেতাকর্মী শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে বুড়িচং -ব্রাক্ষণপাড়্যা শোকের ছায়া নেমে আসে। সর্বদলীয় ভাবে তিনি সকলের প্রিয় ছিলেন। তিনি বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন।ছিলেন লক্ষ ছাত্রের শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক। বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন ও নিকট আত্মীয় মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। সোমবার কুমিল্লা মহানগরীর টাউন হল মাঠে সকাল ৯ টায় প্রথম জানাজা, ২য় জানাজা দুপুর ১২ টায় ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলা সদর, ৩য় জানাজা বাদ যোহর ( দুপুর ২টায়) বুড়িচং উপজেলা সদরে মরহুমের নিজ হাতে গড়া শেষ কর্মস্থল বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে, পরে মরহুমের নিজ গ্রাম বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন এর গোবিনাথ গ্রামে বাদ আছর ৪র্থ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।এ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য কে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন, থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক পিপিএম রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেয়া হয়। অধ্যাপক মোঃ ইউনুস তিনি ১৯৭৩ইং সনে প্রথম আওয়ামী লীগ থেকে কুমিল্লা -৫ হতে এমপি নির্বাচিত হন। পরে ১৯৮৬ ইং সনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন, ১৯৮৮ইং সনে জাপা থেকে পরে ২০০১ ইং সনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ গত নির্বাচনে ও তিনি বিএনপি হতে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। ২০০৩ইং সনে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান উপজেলা বিএনপির কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন। তিনি বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উন্নয়নে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। শিক্ষক হিসেবে ও ছিলেন আর্দশবান, ন্যায় পরায়ন তার রয়েছে আকাশ চুম্বী জনপ্রিয়তা। তিনি তৎকালিন রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের হাত ধরে বুড়িচং উপজেলা সদরে গড়ে তুলেন এরশাদ ডিগ্রি কলেজ। এর পর অবহেলিত রাস্তা ঘাটকে উন্নত করেছেন। তেমনি তিনি দুই উপজেলার জনপদে গড়েছে স্কুল -কলেজ, মাদ্রাসা সহ ব্যাপক উন্নয়ন। এ জনপদের মানুষের মাঝে তিনি হাজার বছর বেঁচে থাকবেন।
অধ্যাপক মোঃ ইউনুস এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফকরুল আলমগীর, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইসপ্রেসিডেন্ট শওকত মাহমুদ,বেগম রাবেয়া চৌধুরী,,বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ড.মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক মিয়া, সাবেক ধর্মমন্ত্রী কায়কোবাদ, বরুড়ার সাবেক এমপি মোঃ মাহাবুবুর রহমান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, , কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ মোস্তফা জামান, বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড.আবুল হাসেম খাঁন, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আখলাক হায়দার, সহ-সভাপতি,অ্যাড. মাহাতাবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড.মোঃ রেজাউল করিম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান খান,সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম ফারুক, বুড়িচং সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ জসিম উদ্দিন, বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবু ইউসুফ তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির বাবুল, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাবেদ কাউসার সবুজ, বিএনপি নেতা ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম শাহীন বি-পাড়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম খোকন, সাধারণ সম্পাদক সরকার জহিরুল হক মিঠুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমির হোসেন। এছাড়া দুই উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।