Published : Sunday, 28 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 28.03.2021 1:47:06 AM

আবুল কালাম আজাদ ||
২৬ মার্চ ২০২১ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাধ্যমিক ও উ”চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লার উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আবদুস ছালামের নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭.০০ টায় মাননীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আবদুস ছালাম -এর নেতৃত্বে বোর্ডের সকল কর্র্মকর্তা কর্মচারী বোর্ড আঙ্গিনা থেকে র্যালি সহকারে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর কুমিল্লা নগর উদ্যানে স্থ’াপিত কুমিল্লা কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং পরবর্তীতে সকাল ৮.০০ টায় বোর্ড প্রাঙ্গনে স্থাাপিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে বোর্ডের পক্ষ থেকে পুনরায় পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ৯.০০ টায় বোর্ড প্রাঙ্গনে বোর্ডের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর উপস্থিতিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর মোঃ জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আবদুস ছালাম। তিনি তাঁর বক্তব্যের প্রারম্ভে মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে উপস্থিত সকলকে শুভে”ছা জানান। তিনি বলেন- আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। আজ থেকে ৫০ বছর পূর্বে এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এ দেশকে দখলদারমুক্ত করার সংগ্রামে বাঙ্গালীজাতীকে নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন। পাকিস্তানি ঘাতকবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে রাজধানী ঢাকায় এক নৃশংস গণহত্যা চালায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হামলা শুরুর পরপরই দেশের বীর সন্তানেরা বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মতো যার যা আছে তা-ই নিয়ে মুক্তিসংগ্রামে অংশ নেয় এ দেশের সাধারণ মানুষ। নয় মাস মরণপণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় চিরকাঙ্খিত স্বাধীনতা। তিনি বলেন,আপনারা জানেন এখন মুজিব বর্ষ চলছে। আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মহান স্বাধীনতা দিবসে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কে। সেই সাথে স্মরণ করছি স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ত্রিশ ল শহিদ এবং ২ ল মা বোনকে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মহান স্বাধীনতা। তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধুর জয়বাংলার মূলমন্ত্র সেদিন মুক্তিকামি বাঙ্গালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একই সুতোয় গাঁথা। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছেছে। তাঁর নেতৃত্বে দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হয়েছে। মানুষ এখন ঘরে বসেই রাষ্ট্রীয় সেবা পাচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যেতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো: আবদুল খালেক। বাদ জোহর বোর্ড জামে মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে গত ১৭ মার্চ ২০২১ খ্রি. তারিখ হতে ২৬ মার্চ ২০২১ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত বোর্ড ক্যাম্পাস আলোকসজ্জিত করা হয়।