ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
নৌকার পালে জয়ের হাওয়া বিদ্রোহীতে বিপাকে বিএনপি
Published : Thursday, 25 February, 2021 at 12:00 AM
মোঃ জামাল হোসেনঃ  আসন্ন শাহারাস্তি পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহীতে বিপাকে  বিএনপি অন্যদিকে নৌকার পালে জয়ের হাওয়া। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রোববার শাহরাস্তি পৌরসভার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এ পৌরসভার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে চাঁদপুর জেলায় গুরুত্ব পাচ্ছে এ পৌরসভার নির্বাচনটি।
নির্বাচনকে ঘিরে দ্বিধা-বিভক্ত আওয়ামী লীগ এক মঞ্চে আসলেও বিএনপিতে বাড়ছে তুষের আগুন। ফলে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন মিয়াজী। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলেও নির্বাচনে কোথাও দাঁড়াতেই পারছেনা। বরং তার চেয়েও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র মোস্তফা কামালের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ফলে গণসংযোগে নৌকার সাথে সাথে মোস্তফা কামালের গণসংযোগও সমান তালে চলছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বাড়ছে আওয়ামী লীগ আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর মাঝে উত্তেজনা। ফলে এক প্রকার নিরব সময় কাচ্ছে বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন মিয়াজী।
ভোটগ্রহণ পৌরসভার হলেও নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো উপজেলায়। আর তাই প্রায় শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম গোটা নির্বাচনী এলাকা। নানা প্রতিশ্রুতি পূরণের আশ্বাস নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরাও।
এদিকে পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বিপাকে পড়েছে বিএনপি। অন্যদিকে একক প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হতে চায় মতাসীন আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, শাহরাস্তি পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক বর্তমান মেয়র হাজী আঃ লতিফ। বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন মিয়াজী। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মোঃ মোস্তফা কামাল।
বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় থাকায় বিপাকে পড়েছেন দলীয় প্রার্থী। তাদের অভিমত, বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলে বিএনপির জয়টা সহজ হয়ে যেত। বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণেই এখন বিএনপির ভোট দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। এ সুবিধা কাজে লাগাতে পারেন আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে দলীয় প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন তারা। তারা বলেন, প্রার্থী দেখে নয়, আওয়ামীলীগের দলীয় আদর্শ ও উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে জনগন নৌকা প্রতীকে ভোট দিবে। আমরা মনে করি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরাই জয়ী হব।’
বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ের প্রত্যাশা করি।’
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোঃ ফারুক হোসেন মিয়াজী বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে ভোটাররা বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরা ধানের শীষ প্রতীককেই বিজয়ী করবে।’