তানভীর দিপু||
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ২০২০-২১ মৌসুমে শুরু থেকে এখনো অপরাজিত আছে গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসরা। কি এমন জাদু বসুন্ধরার!  একের পর এক তারা জিতেই চলছে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেই। শুধু মাত্র নিজেদের নবম ম্যাচে শেখ জামালের সাথে গোল শূন্য ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজনের ছাত্ররা। সবশেষ গতকালের ম্যাচে কুমিল্লায় পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকা শেখ রাসেলকে গোলের বন্যায় ভাসিয়ে হারিয়েছে অপরাজিতরা। জোড়া গোল পেয়েছেন অস্কার ব্রুজনের প্রধান দুই অস্ত্র ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসর রবিনিয়ো এবং আর্জেন্টাইন রাউল বেসেরা। দুর্দান্ত খেলতে থাকা দেশি ফরোয়ার্ড অধিনায়ক তৌহিদুল ইসলাম সুবজের বদলি হিসেবে নেমে নিজের নৈপুণ্য দেখিয়েছেন আরেক স্ট্রাইকার সুফিলও।
এদিকে এখানো বসুন্ধরা কিংসের গোলপোস্টর সামনে দূর্গকে বিধ্বস্ত করতে পারেনি কোন দলই। ইরানি ডিফেন্ডার খালিদ শাফীই, বাংলাদেশি বিশ্বনাথ ঘোষ, ইয়াসিন খান আর রিমন হোসেন একাট্টা হয়েই পাহারা দিচ্ছেন কিংসদের গোল পোস্ট। দলের প্রধান অধিনায়ক ডিফেন্ডার তপু বর্মন চোটের কারণে বাইরে থাকলেও একটুও প্রভাব পড়েনি মাঠে। আর মিডফিল্ডকে গুছিয়ে গোলের জন্য বলের জোগান দিয়েই যাচ্ছেন বিপলু, জনি আর ইব্রাহিমরা। গোলরক্ষকের দায়িত্বটা পুরোদমেই পালন করে যাচ্ছেন আনিসুর রহমান, ফুটবল যেন তার কথা শুনে! সাইড ব্যাঞ্চ আর মাঠের পার্থক্য কখনোই বুঝতেই দেন না ইমন, রানা, রাসেল, মতিন মিয়ারা।
কি জাদুতে খেলছে বসুন্ধরা কিংস এমন প্রশ্নের জবাবে অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা তৌহিদুল ইসলাম সবুজ জানান, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন। আমাদেরকে চ্যাম্পিয়নদের মতই খেলতে হবে। জয়ের জন্যই খেলতে হবে। এর বাইরে কোন কিছু ভাবছি না। দলের সবাই ভালো খেলছে, আর আমরা জয় পাচ্ছি। ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ড এর ডিফেন্ডাররা সমন্বিত ভাবে তাল মিলিয়ে খেলছে- তাই কেউ আমাদের হারাতে পারেনি। ’
বসুন্ধরা কিংসের কোচ স্প্যানিশ ফুটবলার অস্কার ব্রুজন। জয়ের ব্যাপারে খুবই স্বার্থপর এই ফুটবল বোদ্ধা। যে কোন দলের বিরুদ্ধে ভালো খেলে জয় চাই এই স্প্যানিশের। গতকাল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে বিদ্ধস্ত করার পর ব্রুজন কুমিল্লার কাগজকে জানান, ‘ভালো খেলা আর জয় বাদে আমরা কিছু ভাবছি না। সবাই নিজেদের সর্বোচ্চ ভালো খেলতে হবে এটাই মূল কথা। এছাড়া আর কোন জাদু নেই। সব খেলোরদের সাফল্য।’
এবারের মৌসুমে বসুন্ধরা কিংস কুমিল্লায় ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামকে হোমগ্রাউন্ড হিসেবে বেছে নিয়েছে। নিজেদের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের হতাশ করেননি তারা। একের পর এক জয়ে কুমিল্লার ফুটবল প্রেমীদের মন জয় করছে তারা। আর বসুন্ধরার খেলা দেখতে কুমিল্লার বাইরে অন্য জেলা থেকেও আসেন ফুটবল প্রেমীরা।