ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
নাজমা হত্যাকারীর গ্রেপ্তার দাবিতে মেঘনায় মানববন্ধন বিক্ষোভ
Published : Wednesday, 24 February, 2021 at 12:00 AM
এমএ কাশেম ভূঁইয়া-হোমনা ||
কুমিল্লার মেঘনায় নাজমা হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে ঢাকা-মেঘনা সড়কের কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যায় ভাওরখোলা গ্রামের পূর্ব শত্রুতার জেরে ফারুক আব্দাসির নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আঃ সালামের স্ত্রী নাজমা বেগমকে (৫৫) মধ্যযুগিয় কায়দায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার বিচার ও খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধন করে বিােব্দ সর্বস্তরের জনগণ। সড়ক অবরোধ করে ২ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে যানচলা বন্ধ হয়ে অচল হয়ে পরে মেঘনা-ঢাকা আঞ্চলিক মহা সড়ক।
মানববন্ধন ও বিােভ শেষে ভাওরখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমা হত্যা মামলার প্রধান আসামী ফারুক সরকার আব্বাসীসহ সকল হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ১৮০দিনের মধ্যে মামলাটির বিচার করার দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. লিটন আব্বাসী।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, মেঘনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শফিকুল আলম শফিক, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুলাহ মিয়া রতন সিকদার, কমিলা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দিন শিশির, যুগ্ম-সম্পাদক গোলাম ফারুক রানা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোতাহার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিলন সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা মো. সিরাজসহ উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার বিভিন্ন নারী-পুরুষ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ঢাকা থেকে মেঘনার ভাওরখোলা নিজ গ্রামের একটি বিয়েতে দাওয়াত খেতে এসে ফারুক আব্বাসীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ওই গ্রামের আঃ সালামের স্ত্রী নাজমা বেগম। পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাম দা, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা করে এবং মধ্যযুগিয় কায়দায় নির্মমভাবে এলোপাতারী কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে নাজমা বেগমকে। তাকে বাঁচাতে এসে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নাজমার স্বামী আব্দুস সালাম (৬০) ও আলাউদ্দিনের ছেলে ফারুকসহ (৪৫) আরো ২জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় ভর্তি করানো হয়েছে।
ঘটনার দিন রাতেই সিনিয়র পুলিশ সুপার (এএসপি সার্কেল হোমনা) মো. ফজলুল করিমের নেতৃত্বে ফারুক আব্বাসীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রাম দা, ছুড়ি-কান্তাসহ বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে এবং দেলোয়ার নামে একজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনার বিষয়ে মেঘনা থানায় ফারুক আব্বাসীকে প্রধান আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।