ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
পাপুলের এমপিকাণ্ডে জড়িতদের বিচার চাই
Published : Monday, 1 February, 2021 at 12:00 AM
পাপুলের এমপিকাণ্ডে জড়িতদের বিচার চাইনঈম নিজাম ||
‘বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা। হরেক রকম পাগল দিয়া মিলাইছো মেলা।’ এক বন্ধু রাজনীতিবিদ গানটি পাঠালেন। বললেন, গানটি শোনেন। জানতে চাইলাম, এ গানে বিশেষ কোনো মাহাত্ম্য আছে কি? বন্ধু বললেন, এ গানের অর্থগুলো মন দিয়ে শুনলে জগৎ-সংসার, রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে অনেক হিসাব-নিকাশ মিলে যাবে। কোনো কিছুতে আর বিস্মিত হবেন না। হতাশা আসবে না মনের ভিতরে। লেখালেখিতে আরও মন বসাতে পারবেন। সব ধরনের গান শুনি। সিনেমা দেখি। বই, পত্রপত্রিকা পড়ি। কোরআন পড়াও বাদ যায় না। গানটি মনে হয় মাইজভান্ডারীর। আশির দশকে এ ধরনের গানগুলো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। আগে গ্রামে গান হতো। এমনকি মহররম মাসেও একদল মানুষ এসে গান করত বাড়ি বাড়ি ঘুরে। এখন আর কোনো কিছু হয় না। মাঝে রাজনীতি নিয়ে চায়ের দোকানে ঝড় উঠত। এখন তাও হয় না। সব কেমন যেন বদলে গেছে। হিংসুটে, ঈর্ষাকাতর নষ্টদের একটা যুগ চলছে। বড় মন আর উদারতা হারিয়ে গেছে। ভালো-মন্দের বিশ্লেষণে এখন আর কেউ যায় না। বাস্তবতার ধারেকাছে কেউ ঘেঁষতে চায় না। শিক, সাংবাদিক, আমলা, কামলা সবাই দলীয় রাজনীতি করে। রাজনীতি নিয়ে একতরফা কথা বলে মনের মাধুরী মিশিয়ে। সংসদে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি। এভাবে কিছু দিন গেলে সত্যিকারের রাজনীতিবিদদের দুরবিন দিয়ে খুঁজে বের করতে হবে। সবকিছু চলে যাবে অপরাজনীতিবিদদের দখলে। আত্মীয়করণ আর পরিবারতন্ত্র ভয়াবহ রূপ নেবে। কেন এমন হচ্ছে? একজন বললেন, ভাই সবকিছু মতার লড়াই। সবাই মতাবান হতে চায়। মতাসীনদের সঙ্গে থাকতে চায়।
পুরনো দিনের একটি গল্প মনে পড়ল। এক এলিয়েনের মতার পূজা নিয়ে একটা গল্প শুনেছিলাম। পৃথিবীর মতার পূজা দেখতে এসেছিল এলিয়েন। আমেরিকা দীর্ঘদিন থেকে এলিয়েন নিয়ে গবেষণা করে চলেছে। তারা এখন বলছে, এলিয়েন আছে। তারা দুনিয়ায়ও আসা-যাওয়া করছে। আল্লাহর প্রেরিত ফেরেশতাদের দুনিয়ায় আসা-যাওয়ার কথা আমরা ধর্মে পড়েছি। ব্যাখ্যা অনেক রকম থাকলেও বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে কিছু একটা অবশ্যই আছে। বিজ্ঞানের ব্যাখ্যার দিকে যাচ্ছি না। এলিয়েনের গল্পটা শোনাচ্ছি আপাতত। বিশেষ বাহনে এলিয়েন নামলেন বাংলাদেশের সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে। তাকে পাঠানো হয়েছিল দুনিয়াদারির মতাবানদের গবেষণা রিপোর্ট তৈরি করতে। এলিয়েন বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছেন বিশেষ কারণে। কারণটা হলো এলিয়েন শুনেছেন, বাংলাদেশের নিরীহ মানুষ মতাবানদের পূজা করে। টিকে থাকতে তাদের সবকিছু মেনে নেয়। এলিয়েন সিদ্ধান্ত নিলেন সুযোগ পেলে দুনিয়ার মতাবানদেরও পূজা দেবেন। মতার পূজা দিয়েই কাজ শুরু করবেন। এসব কাজের জন্য বাংলাদেশ হচ্ছে মোম একটা জায়গা। এলিয়েন জঙ্গলে নেমেই দেখলেন একটি ইঁদুর দৌড়াচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যে ইঁদুরকে ধরাশায়ী করে খেয়ে ফেলল একটি বিড়াল। শিকারে ছিল ভয়াবহ প্রিতা। এলিয়েন ভাবলেন দুনিয়ায় বিড়ালই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী। তাই বিড়ালের পূজা দিলেন তখনই। কাগজ-কলম বের করে লিখলেন মতাবান বিড়াল ও বাংলাদেশে আগমন কাহিনি।
এলিয়েনের এ ভাবনা বেশিণ স্থায়ী হলো না। কিছুণের মধ্যে দেখলেন আরেক কারবার। বনের এক শিকারি কুকুর এসে মেরে ফেলল প্রিগতির সে বিড়ালকে। এলিয়েন এবার কুকুরের পূজা দিলেন। কুকুরের মতা তাকে বিস্মিত করল। এলিয়েন ভাবলেন কুকুরই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাণী। কিন্তু কিছু দূর হাঁটতেই দেখলেন একটি বাঘ দাঁড়িয়ে আছে। বাঘটি ছিল ুধার্ত। শিকারের আশায় দাঁড়িয়ে থাকা। কুকুরটিকে দেখেই আক্রমণ করল বাঘটি। তারপর খেয়ে ফেলল। এলিয়েন তাজ্জব বনে গেলেন। কুকুরের চেয়ে শক্তিশালী প্রাণী আছে মানুষের দুনিয়ায়। বিলম্ব করলেন না এলিয়েন। বাঘকে পূজা দিলেন। ভাবলেন তার পূজা দেওয়া শেষ। এবার নোট লিখতে হবে বাঘের মতা ও অন্যান্য অভিজ্ঞতা নিয়ে। কিন্তু না, একটু পর ধারণা আবার বদল হলো। এবার এক হাতি এসে শুঁড় দিয়ে বাঘকে ছুড়ে ফেলল দূরে। বাঘের মৃত্যু হয় মুহূর্তে। এলিয়েন দেরি করলেন না। হাতির সামনে নতজানু হয়ে পূজা করলেন। ভাবলেন বাঘের চেয়ে শক্তিশালী প্রাণী দেখলাম। জীবন সার্থক। ফিরে যাব নিজ দেশে এ অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিয়ে। আমার জন্য দোয়া কর প্রভু। ঠিক সে মুহূর্তে বনে প্রবেশ করলেন এক শিকারি। হাতে বন্দুক। চোখে-মুখে শিকারের নেশা। দূরে দাঁড়িয়ে গুলি করলেন হাতিকে। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল হাতিটি। শিকারি ছুরি চালিয়ে হাতির দাঁত কেটে গলায় ঝুলিয়ে গাড়িতে উঠলেন। এলিয়েন অবাক বিস্ময় নিয়ে সব দেখলেন আর মুগ্ধ হলেন। বিলম্ব করলেন না। নতজানু হয়ে শিকারির পূজা দিলেন। তারপর এতণের অভিজ্ঞতা নিয়ে শিকারির পিছু নিলেন। ভাবলেন দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষের সঙ্গে সাাৎ হয়েছে। বাড়ি গেলেন শিকারি। খাবার নিয়ে দিনভর অপোয় ছিলেন শিকারির স্ত্রী। শিকারে যাওয়ার সময় স্ত্রীর অনুমতি নেননি। জানাননি দুপুরে ফিরবেন না। সকালে বলেছিলেন দুপুরে এসে খাবেন। স্ত্রী দুপুর থেকে অপোয় ছিলেন স্বামীর। দিন শেষে রাতে ফেরায় তিনি ুব্ধ হলেন। ব্যথিত মনে লঙ্কাকান্ড শুরু করলেন। স্বামীকে দেখে ছুড়ে মারলেন প্লেট, বাটি আর খাবার। ব্যাপক হইচই শুরু করলেন। স্বামী বেচারা শুধু বললেন, আস্তে। বাচ্চারা উঠে যাবে। স্ত্রী আবার ধমক দিলেন। শিকারি চুপ মেরে গেলেন। পরিস্থিতি দেখে মজা এলো এলিয়েনের মনে। মতাবানের চেয়েও মতাবান আছে আল্লাহর দুনিয়ার বাংলাদেশে। এলিয়েন বুঝলেন আর মতাবান দেখার দরকার নেই। অনেক হয়েছে। পূজাও কম দেননি। এবার ফিরে যাওয়াই ভালো। এলিয়েন শিকারি ভদ্রলোকের স্ত্রীকে শেষ পূজাটি দেন। তারপর চলে যান নিজের দেশে। দুনিয়ায় যা দেখলেন সে অভিজ্ঞতা তার কাছে অনেক বড়।
মতাবানদের এই বাংলাদেশের একজন এমপি আছেন শহিদ ইসলাম পাপুল। তিনি এখন কুয়েতের কারাগারে বন্দী। মতার পেছনে ছুটেছেন। অর্থের পেছনে দৌড়েছেন। সে অর্থ ব্যয় করেছেন এমপি হতে। জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী ছিলেন তার এলাকায়। হঠাৎ দেখলাম জাতীয় পার্টির এমপি প্রার্থী সরে গেছেন ভোট থেকে। কোন জাদুবলে সরে গিয়েছিলেন জানি না। এ জগৎ বড়ই রহস্যময়। জাতীয় পার্টির দোষ দিয়ে কী হবে? কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি চিঠি দিল স্থানীয় কমিটিকে। জানাল কাজ করতে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী পাপুলের প।ে যেই বলা সেই কাজ। কারও উৎসাহের কমতি ছিল না। পাপুল ফ্যাক্টর হয়ে গেলেন ভোটের মাঠে। শুনেছি অনেক লেনদেন হয়েছিল ঘাটে ঘাটে। প্রশাসন আরও উৎসাহ নিয়ে কাজ করল। পাপুল সাহেব সবাইকে ম্যানেজ করেছেন। রাজনীতিবিদদের ঘোলা জল খাইয়ে তিনি এমপি হলেন। রাজনীতিবিদরাও ঘোলা জলকে শরবত মনে করলেন। খেয়ে আনন্দিত হলেন। খাওয়াতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও বাদ যাননি। সবার অবস্থা হলো চট্টগ্রামের শওকত ভাইয়ের কাছ থেকে শোনা ‘হাসি-খুশি’র সেই গল্পের মতো। লক্ষ্মীপুরের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা পাপুলের পে কাজ করলেন। ঘাঁটি থেকে মাঠছাড়া করল বিএনপিকে। সবাই মিলেমিশে এমপি বানালেন পাপুলকে। এ আনন্দে পাপুল সাহেব মহা-আনন্দিত হলেন। দেখলেন সবই হয়। কোথাও কোনো সমস্যা নেই। তাই সংসদে গিয়ে স্ত্রীকেও নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। যেই ভাবনা সেই কাজ। হয়ে গেল। পানির মতো সবকিছু পরিষ্কার। একবার সংবাদ সম্মেলনে মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ‘সবকিছুর দাম বেড়েছে। মদের দাম বেড়েছে কিনা যাদু মিয়া (মশিউর রহমান) জানেন।’ পাপুলের স্ত্রীকে এমপি করাতে লেনদেন কী হলো জানি না। তবে দেখলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনাও এমপি হলেন। সংসদে স্বতন্ত্র মহিলা কোটা পূর্ণ হলো। স্বামী-স্ত্রী সংসদে গেলেন।
‘বাবা তোমার দরবারে পাগলের খেলা’ গানটি শেষ হতেই ইউটিউবে নতুন গান বাজল ‘কত রঙ্গ জানো রে মানুষ কত রঙ্গ...।’ পাপুল চাইলে তার শ্যালক, শ্যালিকা, কাজের লোককে এমপি করতে পারতেন। দয়া করে তিনি করেননি। পাপুল বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য শিা। এখান থেকে রাজনীতিবিদরা না শিখলে কিছুই করার থাকবে না। সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। মতার এ দুনিয়ায় চট্টগ্রামের ভোটের ফলাফল দেখলাম। ভোট নিয়ে বলার বেশি কিছু নেই। সবাই সবকিছু জানেন। ইতিহাস থেকে শিা কেউ নেয় না। ভালো-মন্দের বিচার করে না। বোঝে না মতা আর ভোটের রাজনীতি চিরদিন এক রকম থাকে না। লাউ আর শিমের বিচি এক করে দেখার কিছু নেই। বাস্তবতায় ফিরে আসতে হবে। ব্যবস্থা নিতে হবে পাপুলের এমপিকান্ডে জড়িত সবার বিরুদ্ধে। পাপুলের সঙ্গে একবার দেখা হয়েছিল বিমানে। আগে থেকে চেনাজানা ছিল না। নিউইয়র্ক থেকে ঢাকা ফিরছিলাম। এমিরেটসে দুবাই থেকে ঢাকার ফাইটে উঠলাম। কাছাকাছি সামনের আসনে ছিলেন পাপুল। তিনি উঠে এলেন আমার সামনে। নিজের বিজনেস কার্ড এগিয়ে দিলেন। বললেন, ‘আমি এমপি পাপুল। কুয়েতে ব্যবসা করি। এমপি হয়েছি লক্ষ্মীপুর থেকে। আপনার পত্রিকায় শুধু আমার বিরুদ্ধে লেখে। কিছু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী বিভ্রান্ত করছে আপনার রিপোর্টারকে।’ জবাবে বললাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ তো গত নির্বাচনে আপনাকে সহায়তা করেছে। এখন আবার কী নিয়ে সমস্যা? বললেন, ‘কেন্দ্র থেকে নির্দেশ পেয়েছে তাই ভোটে সহায়তা করেছে।’ কথার মাঝে কেন্দ্রের সঙ্গে তার যোগাযোগের সূত্র আছে। তাই বললাম, এমপি হতে নাকি অনেক টাকা ব্যয় করেছেন? জাতীয় পার্টিকে বসাতে কত দিতে হয়েছিল? শুনেছি ১৩ কোটি টাকা। পাপুল আমার কথায় বিব্রত হলেন না। বললেন, ‘না, এত টাকা না। আরও অনেক কম।’ এবার বললাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কাছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চিঠির জন্য কত দিতে হয়েছিল? কাকে দিলেন? পাপুল বললেন, ‘ভাই, এগুলো নিয়ে আরেক সময় কথা হবে।’ বুঝলাম প্রসঙ্গ থেকে কেটে পড়তে চান। আবার চেপে ধরলাম। বললাম, প্রশাসনের কথা বলুন। পাপুল দেখলেন আমার সঙ্গে কথা বলার মানে নেই। বললেন, ঘুম পাচ্ছে। পরে একসময় আপনার সঙ্গে কথা হবে। পাপুল চলে গেলেন তার আসনে। একই ফাইটে সামনের আসনে বসা ছিলেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এগিয়ে গেলাম তাঁর দিকে। দাঁড়িয়ে গল্প করলাম তাঁর সঙ্গে। তিনি ইউরোপ থেকে ফিরছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কের সামনে সামাজিক ব্যবসা বিষয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। তাঁদের সামনে তুলে ধরেছেন দারিদ্র্যকে কীভাবে জয় করতে হয়। রাষ্ট্রনায়করা তাঁর স্বপ্নজয়ের কাহিনি শুনেছেন মন দিয়ে। বিদেশের নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি এসব বিষয়ে বক্তৃতা করছেন। প্রাণবন্ত মানুষটি আমাকে দেখে হাসিমুখে কথা বললেন। ছবি তুললাম। ফিরে এলাম নিজের আসনে। সে ছবি পরে ফেসবুকে দিয়েছিলাম।
একটা কথা শেষে বলে রাখি, লক্ষ্মীপুর বিএনপি জোন। আচ্ছা পাপুল সাহেব এমপি না হলে বিএনপির কেউ জিতলে কী এমন অশুদ্ধ হতো? এক পাপুলে আজ দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। পাপুল শুধু মানব পাচারকারী হিসেবে জেলে গেলে কিছু যেত-আসত না। তার নামের শেষে ‘এমপি’ পদ বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ুণ্ণ করেছে। এ কান্ড দেখার জন্য আমার ভাই মুক্তিযুদ্ধে যাননি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশটা স্বাধীন করেননি। শেখ হাসিনা ভোট ও ভাতের আন্দোলন করেননি। পাপুলের স্রষ্টাদের বিচার দাবি করছি। পাপুলকে বিজয়ী করতে নষ্ট ভূমিকায় যারা ছিলেন তাদের কাঠগড়ায় আনতে হবে। বিচার করতে হবে লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের কাছে চিঠি প্রেরণকারী নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সেই নেতাদের।  ব্যবস্থা নিতে হবে রাতে সহায়তাকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।  অবশ্যই পাপুলকে অবৈধভাবে এমপি বানানোর প্রক্রিয়ায় জড়িত সবাই দেশের ভাবমূর্তি ুণেœর জন্য দায়ী।
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।