
ঝালকাঠির রাজাপুরের ধানসিঁড়ি নদীর দুই ধারে নয়নাভিরাম সবুজের সমারোহ।
নদী খননের পরে উর্বর পলি মাটিতে বিভিন্ন জাতের ফসল যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
পাখির কলতানে মুখরিত নদীর দুই তীর। রাতের দৃশ্য আরও মনকাড়া।
ডুমুর গাছে জোনাকি পোকার জ্বলজ্বল আলোতে নদীর দুই ধার আলোকিত হয়ে যায়।
চোখ আটকে যাবে জোনাকি পোকার আলোর টিপ টিপ তালে। উপজেলায় একমাত্র পর্যটন
কেন্দ্র হিসেবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে প্রকৃতিপ্রেমীদের।
সংশ্লিষ্টদের
একটু নজরে এলেই দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে রূপসী বাংলার কবি
জীবনানন্দ দাশের কবিতার নদী ‘ধানসিঁড়ি’। নদী, পানির কুলকুল শব্দ, সবুজ,
পাখ-পাখালির কলতান ও বাহারি রঙের বিভিন্ন ফসল সবারই মন কাড়বে।
স্থানীয় গাছিরা নদীর দুই ধারের খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য
পরিষ্কার করে কেটে খিল লাগিয়ে হাঁড়ি ঝুলিয়ে দিয়েছেন। সেই বাঁশের কঞ্চির
খিলে বসে পাখিদের খেজুর গাছের রস খাওয়ার দৃশ্য আরও আকর্ষণীয়। পাখির
কিচিরমিচির সুরেলা ডাকে মন হারিয়ে যায় আচেনা দেশে।