ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
জাতীয় পার্টির নেতার খামারে ৩৫টি হরিণ
Published : Monday, 25 January, 2021 at 6:18 PM
জাতীয় পার্টির নেতার খামারে ৩৫টি হরিণ সুন্দরবন উপকূলীয় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নন্দকাটি গ্রামের গলঘশিয়া নদীর তীরে ব্যক্তি উদ্যোগে চিত্রা হরিণের খামার গড়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা আব্দুস সাত্তার মোড়ল। খামারটিতে এখন হরিণের সংখ্যা ৩৫টি। শখের বসেই খামারটি গড়েছেন এই নেতা। প্রতিদিন সেখানে হরিণ দেখতে ভিড় করেন বিভিন্ন এলাকার শত শত দর্শনার্থী। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খামারটিতে বড় হরিণের সংখ্যা ২৯টি। শাবক (বাচ্চা) রয়েছে ৬টি। ছাগলের মতো হরিণদের খাবার দেন খামারটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।
খামার মালিক মোড়ল আব্দুস সাত্তার জাতীয় পার্টির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালে খুলনার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাঁচটি হরিণ নিয়ে লালন-পালন শুরু করি। শখের বসেই শুরু করেছিলাম। তবে এখন সেটি খামারে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখন খামারটি দেখতে আসেন।’ তিনি জানান, জেলায় এমন হরিণের খামার আর নেই। হরিণের খামার লাভজনক ব্যবসা। হরিণের মাংসের চাহিদাও রয়েছে অনেক। শিক্ষিত বেকার যুবকরা চাকরির পেছনে না ছুটে হরিণের খামার করলে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল আমার কাছ থেকে ৬টি হরিণ নিয়ে লালন-পালন করে এখন ১১টি হরিণের মালিক বনে গেছেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমার খামারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছিল। এরপর থেকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় আমার খামারটির সনদপত্র নবায়ন নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে। হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে আমাকে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদফতর আইনি জটিলতা দেখিয়ে আমার প্রত্যায়ন বন্ধ করে রেখেছে’, বলেন খামার মালিক মোড়ল আব্দুস সাত্তার।
জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘বন মন্ত্রণালয় বলছে, আমার খামারটি আকাশ পথে সুন্দরবন থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে। খামার হতে হবে ৩০ কিলোমিটার দূরে। নদীপথে আমার খামারটি রয়েছে ৬৩ কিলোমিটার দূরে ও সড়ক পথে ৫০ কিলোমিটার দূরে। আকাশ পথে কত কিলোমিটার দূরে রয়েছে সেটি আমার জানা নেই।’ আইনি জটিলতায় আটকা পড়েছে হরিণের খামার করতে আগ্রহী আশাশুনি উপজেলার হাড়িভাঙা গ্রামের বাসিন্দা সোলাইমান হুসাইন নামের এক উদ্যোক্তার।