বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মৎস সম্পদের সুষ্ঠু আহরণ, সংরক্ষণ ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য আরও ১৫টি মিড ওয়াটার (মধ্য স্তর) ট্রলারকে লাইসেন্স দেয়ার বিষয়ে আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই বাতিলের প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের ২৯ জুলাই মন্ত্রিসভা বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত ছিলে, বঙ্গপোসাগরে একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় ট্রলারের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে। মন্ত্রিসভার সেই সিদ্ধান্তটি বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব দিয়েছে। বঙ্গপসাগরের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু আহরণ, সংরক্ষণ ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে সেসময় ১৫টি মিড ওয়াটার ট্রলার অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া হলেও লাইসেন্সের জন্য কোন ট্রলার পাওয়া যায়নি।’
সচিব বলেন, ‘২০১৪ সালে ২০ এপ্রিল তৎকালীন মন্ত্রীর নেতৃত্বে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বটম ওয়াটার ট্রলারকে মিড ওয়াটার ট্রলারে রূপান্তরের জন্য প্রশাসনিক আদেশ দেয়া হোক এবং যে ১৫টি মিড ওয়াটার ট্রলারের কথা বলা হয়েছিল, সেগুলো বাতিল করতে হবে। কারণ, যেহেতু এটি মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে তাই মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এ কারণে তারা মন্ত্রিসভায় বাতিলের প্রস্তাবটি নিয়ে এসেছিল।’


এমপিওভুক্তির দাবিতে বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের মানববন্ধন
‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বর্ষপুঞ্জি-২০২১’ এর মোড়ক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এমপিওভুক্তিকরণ ও জনবল নিয়োগের দাবিতে বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের (অমানিশিপ) ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ নিগৃহীত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘১৯৯৩ সালে প্রান্তিক নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণ ও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনক্রমে প্রথম অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়। এখন পর্যন্ত সে ধারা অব্যাহত আছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এত বছর ধরেও কোনো সরকার আমাদেরকে এমপিওভুক্ত করেননি। তাই আমরা ননএমপিও অভিশপ্ত জীবনের অবসান চাই।’