তানভীর দিপু।।
আসন্ন
ত্রয়োদশ নির্বাচনে পুলিশের সঠিক ভাবে দায়িত্বপালনের মাধ্যমে পূর্বের সকল
বদনাম ঘুচানোর প্রচেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার নবাগত পুলিশ সুপার ও
পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের মহাসচিব মোঃ আনিসুজ্জামান তিনি বলেন, পুলিশের
চেইন অব কমান্ড ঠিক করা হচ্ছে। এর আগে এই বিষয়টি নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। যে
কারনে জবাবদিহিতা কমে গিয়েছিলো। এখন থেকে প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তাগণ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারগণের কাছে রিপোর্ট করবেন, সার্কেল
অতিরিক্ত সুপারগণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস্ এবং অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস্ রিপোর্ট করবেন জেলা পুলিশ সুপারকে। এছাড়া
একজন এসআই বা উপ- পরিদর্শকের এসিআর লেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সার্কেল পুলিশ
সুপারকে- এতে চেইন অব কমান্ড ও জবাবদিহিতা কঠোর হবে।
মঙ্গলবার (৯
ডিসেম্বর) কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের
সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) পঙ্কজ বড়ুয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও
অর্থ) রাশেদুল ইসলাম, সদর সার্কেল সাইফুল মালিকসহ বিভিন্ন সার্কেলের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারগণ উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা নগরীর অন্যতম প্রধান
সমস্যা যানজট নিরসনে সচেষ্ট থাকার কথা উল্লেখ করে জেলার নবাগত পুলিশ সুপার
বলেন, পুলিশের যারা টোকেন বাণিজ্য যারা করেন তাদের বিরুদ্ধে আমি ইতোমধ্যে
ব্যবস্থা নিয়েছি। কুমিল্লা শহরে প্রায় ৩৬ হাজার যানজট চলাচল করে, কিন্তু
সিটি কর্পোরেশনের জন্য মাত্র ৬ হাজার অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচলের কথা
রয়েছে। তাই আমরা আগামীকাল থেকেই সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় কুমিল্লা
নগরীতে যানজট নিরসনে অভিযান শুরু করব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে
পুলিশ সুপার বলেন , পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গা থেকে
লুট হওয়ার সরকারি অস্ত্র উদ্ধারে প্রচেষ্টা রয়েছে। এখনো কুমিল্লা জেলার ১৭
টি অস্ত্র ও ৪ হাজার ২৬৬টি এ্যামুনিশন উদ্ধার করা বাকি রয়েছে।
কুমিল্লা
জেলায় চুরি ডাকাতি ছিনতাই প্রতিরোধ, হয়রানিমূলক মামলার বিষয়ে সতর্ক থাকাসহ
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিজনক বিভিন্ন যেকোনো কাজ প্রতিরোধে কুমিল্লা
জেলা পুলিশ আরো বেশি সতর্ক থাকবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
