
দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়কের দেবিদ্বার অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার
(৯ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ঠিকাদারি
প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক দোয়ার
মধ্য দিয়ে ২৫২ মিটার দৈর্ঘ্যের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এই
প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার ৯৩৩ টাকা এবং এটি
বাস্তবায়ন করছে অপ্সরা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত
আব্দুল্লাহ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ এই সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়ে
আসছিল। অবশেষে সরকার প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে। দ্রুত কাজ শেষ করে
জনদুর্ভোগ দূর করাই এখন আমাদের লক্ষ্য। কাজ শেষ হলে কুমিল্লা–সিলেট মহাসড়ক
ও দেবিদ্বার নিউমার্কেট এলাকার ভোগান্তি দূর হবে এবং স্থানীয় যোগাযোগ
ব্যবস্থায় গতি আসবে। এ সঙ্গে স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
স্থানীয়
বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে সিলেট হাইওয়ে
দেবিদ্বার নিউ মার্কেট চত্বর পর্যন্ত এই সড়ক ভাঙাচোরা অবস্থায় থাকায়
সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, রোগীবাহী
যানবাহন এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখা দিত। সংস্কার কাজ
শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয় বাস, মালবাহী
ট্রাক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে আনন্দ দেখা দিয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার উপজেলা এনসিপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান সমন্বয়ক মো.
জাহাঙ্গীর আলম সরকার, যুগ্ম সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম শামীম ও মো. শামীম
কাউছার, জাতীয় ছাত্র শক্তির প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম (হৃদয়) সদস্য শফিউল
ইসলাম পাখি ও মো. রায়হান আহম্মেদ, প্রতিনিধি মো. জয়নাল সরকার ও মো. জালাল
আহমেদ এবং জাতীয় যুবশক্তির প্রতিনিধি ইঞ্জিনিয়ার ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
প্রকল্পের
বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান অপ্সরা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর হিসাবরক্ষক মো.
দেলোয়ার হোসেন জানান, “আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে
কাজ সম্পন্ন হবে।” এছাড়াও, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী
মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ভূঞা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল অবস্থায় ছিল।
স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি আগামী
৩-৪ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।”
