আন্তর্জাতিক
দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে
আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যে প্রকৌশলী আবদুল মতিন বলেন, “২০ বছরের বেশি সময়
কুমিল্লার বাইরে চাকরি করেছি। ২০ বছর পর কুমিল্লায় কাজ করার সুযোগ হয়েছে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া একরকম জোর করেই আমাকে কুমিল্লার দায়িত্ব
দিয়েছেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, কুমিল্লা জেলায় এলজিইডির নিবন্ধিত ঠিকাদার
সংখ্যা দেড় হাজারের মতো হলেও অধিকাংশ কাজ হয় না। কিছু কাজ ধীরগতিতে চলে,
আবার বহু কাজের কোয়ালিটি অত্যন্ত নিম্নমানের। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি
বিভিন্ন কমিউনিটি ও সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন এবং অনিয়ম প্রমাণিত
হলে জরিমানা ও ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
তিতাস উপজেলার একটি ব্রিজ নির্মাণের
উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদার মিলে ঢালাই করে
ফেলেছিল, কিন্তু আমাকে জানানো হয়নি। কাজ খারাপ হওয়ায় ব্রিজটি ভাঙতে হয়েছে।
ঠিকাদাররা অনেক পাওয়ারফুল, তাদের ভাঙা খুবই কঠিন। তারপরও আমি ভাঙতে পেরেছি-
এটিই আমার সার্থকতা।”
মুরাদনগরের আরেকটি ঘটনায় তিনি জানান, উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এক আত্মীয় ঠিকাদারও অফিসকে না জানিয়ে কাজের ঢালাই
সম্পন্ন করেন। তিনি এটিও অনিয়ম হিসেবে উল্লেখ করেন।
সভায় এসময় বক্তব্য
রাখেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসান, কুমিল্লা দুর্নীতি প্রতিরোধ
কমিটির সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান, সচেতন নাগরিক কমিটির অধ্যাপক নিখিল
চন্দ্র রায় এবং দুদক উপপরিচালক মো. নাজমুল হাসান।
এর আগে গত ২
ডিসেম্বর কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে স্থানীয় ঠিকাদার ও এলাকাবাসী
মানববন্ধন করে প্রকৌশলী আবদুল মতিনের অপসারণ দাবি করেন। তাদের অভিযোগ—
যথাযথ ঘুষ না দিলে বিল আটকে রাখা হয়, ফলে বিভিন্ন রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ
প্রকল্প বন্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। এবিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার আঃ মতিন
বলেন আমার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে গেলেই একটি চক্র অসৎ কাজ করতে
পারেনা তাই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
