
কিলিয়ান
এমবাপ্পের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের জায়গা নিশ্চিত করল ফ্রান্স।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইউক্রেনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ
তারকা করেন দুটি গোল। আর এই দুই গোলেই তার ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে
৪০০-এর মাইলফলক।
শেষ ছয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় সাতে।
দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পের দুই গোলের মাঝখানে বায়ার্ন মিউনিখের মাইকেল অলিসে
করেন একটি গোল, আর শেষদিকে স্কোরলাইনকে আরও সুন্দর করে তোলেন লিভারপুলের
হুগো একিটিকে।
যদিও ম্যাচজুড়ে ফ্রান্সকে বারবার থামিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের
রক্ষণ। বিশেষ করে দিদিয়ের দেশমের জন্য এটি ছিল প্যারিসে তার শেষ
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। কারণ, বিশ্বকাপের পরই দায়িত্ব ছাড়বেন ফরাসি কোচ।
তাই ম্যাচে ছন্দের ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
৫৫ মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। এমবাপ্পের প্যানেনকা পেনাল্টি ভেঙে দেয় ইউক্রেনের প্রতিরোধ। সেই গোল থেকেই শুরু হয় প্যারিসের উল্লাস।
তারপর
অলিসের চমৎকার টার্ন নিয়ে নেওয়া শট ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত করে। আর শেষ দশ
মিনিটে এমবাপ্পে ও একিটিকে স্কোরলাইনে আরও রঙ যোগ করেন।
এই হারে
‘গ্রুপ-ডি’ থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে আসে ইউক্রেন। ম্যাচে তারা একটিমাত্র শট
নিতে পেরেছিল, যা ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইন্যাঁকে কোনো ভাবেই পরীক্ষা করতে
পারেনি। শুরু থেকেই তাদের পরিকল্পনা ছিল ফ্রান্সকে অস্বস্তিতে রাখা এবং
প্রায় এক ঘণ্টা সেটিতে সফলও হয়েছিল তারা।
বিরতির ঠিক আগে ফ্রান্সের
সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে যখন ব্র্যাডলি বারকোলার দুর্দান্ত বাঁকানো শট ইউক্রেন
গোলরক্ষক ত্রুবিন পোস্টে ঠেকিয়ে দেন।
তবে এমন প্রতিভাবান একটি দলকে বেশি
সময় আটকানো কঠিন। বারকোলার দারুণ দৌড়ের পর অলিসেকে ফাউল করেন তারাস
মিখাভকো। স্পট কিকে তখন এমবাপ্পের সামনে শুধু নরম চিপে বল পাঠিয়ে দেওয়ার
কাজটা বাকি ছিল।
কিছুক্ষণ পর এন’গোলো কান্তের প্রেসিংয়ে ইউক্রেনের
ডিফেন্স বল হারালে আবার সুযোগ আসে ফ্রান্সের। কান্তে বল বাড়ান অলিসেকে।
তিনি ডান পা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাম পায়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে চমকপ্রদ শটে গোল
করেন।
শেষদিকে আবার জ্বলে ওঠেন এমবাপ্পে। শুরু এবং শেষ- দুটোরই সঙ্গী
তিনি। এ মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ২০ ম্যাচে তার এটি ২৩তম গোল এবং
ক্যারিয়ারের ৪০০তম গোল। আর ৮৮ মিনিটে অধিনায়ক এমবাপ্পের দেওয়া থ্রু পাস
থেকে একিটিকে করেন দলের চতুর্থ গোল।
ফলাফল- ফ্রান্স নিশ্চিত করল বিশ্বকাপ। আর প্যারিসে রাতে আবারও গর্জে উঠল ‘আলেলে লে ব্ল্যু’।
