কুমিল্লায়প্রস্তাবিত
বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন জেলার ২৫ জন
আইনজীবী।সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়। ওই সিদ্ধান্তেরপ্রেক্ষিতে কুমিল্লার আইনজীবীরা চট্টগ্রাম বিভাগের
প্রস্তাবিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি কুমিল্লায় স্থাপনের দাবি জানান।আইনজীবীরা
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি
আকর্ষণ করেছেন। এ উপলক্ষে কুমিল্লা বারে যৌথভাবে তারা একটি আবেদনপত্রে
স্বাক্ষর করেন।
স্বাক্ষরকারী আইনজীবীরা মনে করেন, তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের
বিবেক। শিক্ষার অগ্রগামী জেলা হিসেবে কুমিল্লায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
স্থাপন সময়োপযোগী ও যুক্তিসঙ্গত। ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা জেলায় অসংখ্য
শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ও জাতীয় ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়েছে।তারা আরও বলেন,
কুমিল্লায় রয়েছে মহেশাঙ্গন ও রামমালা পাঠাগার, কুমিল্লা জিলা স্কুল, নবাব
ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ,
কুমিল্লা বরুড়া দারুল উলুম মাদ্রাসা যা এ জেলার সমৃদ্ধ শিক্ষা ও ঐতিহ্যের
সাক্ষ্য বহন করে।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে কুমিল্লায় তৃতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপনের দাবির সময় তৎকালীন সরকার একটি শিক্ষাবোর্ড ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং
কলেজ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ছয় দশক পেরিয়ে গেলেও সেই
প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি।আইনজীবীরা মনে করেন, কুমিল্লার রাজনৈতিক,
সামাজিক, সাংবাদিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি তুললে চট্টগ্রাম
বিভাগের প্রস্তাাবিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি কুমিল্লায় স্থাপন সম্ভব
হবে।স্বাক্ষরকারী আইনজীবীরা হলেন:এড. মাহবুবুল আলম, এড. গাজী এ কে আজাদ,
এড. নূরদ্দীন মিয়াজী (বুলবুল), এড. মো: ইসলাম ইবনে সাইখ, এড. মো: মহসিন
ভূইয়া, এড. মোতালেব হোসেন, এড. মো: রেজাউল করিম, এড. সাইফুল ইসলাম ভুইয়া,
এড. সৈয়দ শহিদুল আহসান টিপু, এড. রতন চক্রবর্তী, এড. মো: আনিসুর রহমান
আব্বাছি, এড. নচিবা মোহাম্মদ, এড. জাফর উল্লা ভুইয়া, এড. আব্দুল মান্নান
মজুমদার, এড. জালাল উদ্দিন টিপু, এড. মোহাম্মদ এনামুল হাসান খান (রিপন),
এড. মো: আনোয়ার হোসেন, এড. টিপু সুলতান, এড. মো: আলাউদ্দিন ভুইয়া, এড.
মহিবুর রহমান চৌধুরী (মনির), এড. তাজুল ইসলাম, এড. আমানুর রহমান খান, এড.
সালাউদ্দিন ইসলাম, এড. সেলিম আহমদ ভুইয়া ও এড. ফাররুক আহমেদ শান্ত।
