শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা সাবেক সংসদ সদস্যদের আমদানি করা ৩১টি উচ্চ মূল্যের গাড়ি পাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রাম
বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব গাড়ি নিলামে তুলেও আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় সেগুলো
‘জনস্বার্থে’ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায়।
এর প্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বুধবার এ বিষয়ে বিশেষ আদেশ জারি করেছে।
তবে
এতে শর্ত দেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে এসব গাড়ি শুল্ক পরিশোধ করে আমদানিকারক
ব্যক্তি খালাস করতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তা ফেরত দেবে।
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা এসব গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধার কোটায় আমদানি করেছিলেন।
ছাত্র-জনতার
অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্টের পর এসব
গাড়ি আর খালাস করা হয়নি। পরে সংসদকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
জনপ্রশাসনের
কাছে গাড়ি হস্তান্তরের বিদেশে আদেশে এনবিআর বলেছে, উচ্চ মূল্যর ৩১টি গাড়ির
উপর শুল্ক আরোপ করা হলে তার অঙ্ক হবে ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।
এর
মধ্যে একটি গাড়ির বিপরীতে সর্বোচ্চ শুল্ক হচ্ছে ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার
টাকা এবং সর্বনিম্ন ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য হিসেবে আমদানি
করায় এসব গাড়িতে শুল্ক দেওয়া লাগত না।
সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় এখন গাড়িগুলো খালাস করলে পুরো শুল্ক দিয়ে খালাস করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে এনবিআর।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এর এসব গাড়ির ওপর নিয়মিত হারে শুল্ক আদায় করা হবে কি না, তা জানতে চেয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
তখন
এনবিআরেরর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘‘বিলুপ্ত সংসদের সদস্যদের আমদানি করা
গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং
আমদানিকারকগণ স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধপূর্বক গাড়িগুলো খালাস করতে
পারবেন।
‘‘সংশ্লিষ্ট গাড়ির আমদানিকারক ভবিষ্যতে প্রযোজ্য সমুদয় শুল্ক ও
কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো আইনানুগ পদ্ধতিতে খালাস করতে চাইলে কাস্টমস হাউস,
চট্টগ্রাম শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ এবং শুল্কায়ন সংক্রান্ত আইন, বিধি ও
আদেশ যথাযথভাবে পরিপালন করে তা আমদানিকারকের অনুকূলে খালাস করতে পারবে।’’
ভবিষ্যতে
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আমদানিকারকের অনুকূলে খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে
গাড়িগুলো সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ফেরত দেবে, বলা
হয়েছে বিশেষ আদেশ।
