রমজান মাসে
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংক। নগদ মার্জিন শিথিলের পর এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯০ দিনের
বাকিতে রোজার পণ্য আমদানির সুযোগ দিয়েছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) এ
সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছে,
আসন্ন রমজানে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ ও পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল,
গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুর আমদানিতে এই
সুবিধা দেওয়া হলো।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, বিদেশি সরবরাহকারীর কাছে
আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এসব পণ্যের অর্থ বাকিতে পরিশোধ করা যাবে। তবে
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিষয়ে পূর্বের অন্যান্য নির্দেশনা
অপরিবর্তিত থাকবে।
সাধারণ নিয়মে শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও মূলধনী
যন্ত্রপাতি ছাড়া অন্য কোনো পণ্য বিলম্বে পরিশোধের শর্তে আমদানি করা যায় না।
তবে এবার রমজানকে সামনে রেখে এই ব্যতিক্রমী সুবিধা দেওয়া হলো।
মঙ্গলবার
(১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক রমজানকেন্দ্রিক পণ্যগুলোর এলসি খোলার সময়
নগদ মার্জিন ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার
নির্দেশ দিয়েছিল। পাশাপাশি, অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে এসব
পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
এলসি
মার্জিন হলো—কোনো পণ্য আমদানির সময় ব্যাংকে জমা রাখতে হয় এমন ন্যূনতম নগদ
অর্থ। সাধারণত এলসি খোলার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য দেশে এসে খালাসের
পর আমদানিকারক দায় পরিশোধ করেন। অতীতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক
অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত মার্জিন নিতো।
তবে ২০২২ সালে ডলার সংকট
দেখা দেওয়ার পর আমদানি নিয়ন্ত্রণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ ছাড়া অন্য
পণ্যে ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা
হয়েছিল। বর্তমানে ডলার সংকট প্রশমিত হওয়ায় ধীরে ধীরে সেই শর্তগুলো শিথিল
করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
