নিজস্ব
প্রতিবেদক: রপ্তানি খাতের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর
(ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ হাসান
আরিফ।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন
(ইপিজেড) এর সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কুমিল্লা
চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বিজনেস ফোরাম, ইপিজেডভুক্ত
শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায়
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ রপ্তানি প্রক্রিয়ার জটিলতা, কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক
সুবিধাসহ কুমিল্লায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মাছ, শাকসবজি ও অন্যান্য পণ্য
রপ্তানির সুযোগ চান, যাতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পান। তারা অভিযোগ করেন,
বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্য ভারতে রপ্তানিতে বাধার মুখে পড়ছে, বিশেষ করে
কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী স্থলবন্দরে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, বিদেশি
শিল্পনীতির চাপে টিকে থাকতে হলে নতুন পণ্যে রপ্তানি বৈচিত্র্য আনতে হবে।
সেই সঙ্গে কুমিল্লা বিমানবন্দর পুনরায় চালুর দাবি জানান তারা। যাতে ইপিজেড
পণ্য পরিবহন সহজ হয়, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ে ও আঞ্চলিক রপ্তানি আরও গতিশীল হয়।
মতবিনিময়
সভায় মোঃ হাসান আরিফ বলেন, খাদের মধ্য থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের
অর্থনীতি। বহু চাপের মধ্যেও ব্যবসায়ীরা রপ্তানিতে ভূমিকা রাখছেন। বর্তমানে
৮০-৮১ শতাংশ রপ্তানি গার্মেন্টস নির্ভর যে কারণে একক পণ্যের ওপর
নির্ভরশীলতা সংকট তৈরি করছে। এ অবস্থায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)
গার্মেন্টসের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ৭টি সেক্টরে রপ্তানি বৃদ্ধির
উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, রপ্তানি খাতের বিকাশে সরকারের নানামুখী
পদক্ষেপ চলমান। বিশেষ করে আঞ্চলিক শিল্পাঞ্চলগুলোতে অবকাঠামো উন্নয়ন,
লজিস্টিক সাপোর্ট ও প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা রপ্তানি
সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে চাই।
কুমিল্লা ইপিজেড দেশের একটি
গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি কেন্দ্র এখানে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ আরও শক্তিশালী
করতে ইপিবি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।
ব্যবসায়ী
নেতৃবৃন্দ ছাড়াও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ইপিজেডের নির্বাহী
পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)
মোঃ সাইফুল ইসলাম ও কুমিল্লা চেম্বার অভ কমার্সের সহ-সভাপতি জামাল আহমেদ।
