দুই দশকের বেশি সময় ধরে কারাভোগ করা ৩৭ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা অধিদপ্তর।
কারাবাসের
সময় তাদের আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ও মামলার প্রকৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়
বিবেচনায় নিয়ে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
এতে বলা
হয়েছে, দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দিদের মধ্যে ২০ বছর বা তার বেশি
কারাভোগ করছেন তাদের মধ্যে ৩৭ জনের বাকি সাজা মওকুফ করে মুক্তির আদেশ জারি
হয়েছে।
কারা বিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী তারা মুক্তি পাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
কারা
বিধির ৫৬৯ ধারায় বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালের ৭ ডিসেম্বর এর পূর্বে বা পরে যেসব
বন্দির সাজা সশ্রম বা যাবজ্জীবন হিসাবে প্রদান করা হয়েছে, তাদের সাজার
মেয়াদ রেয়াতসহ যথাক্রমে ১৪ বছর এবং ২০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর সম্ভাব্য
মুক্তির ২ মাস বা ৩ মাস আগে কারা মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে সরকারের কাছে সাজা
মওকুফের আবেদন করা যাবে।
এই ধারাটি ‘টোয়েন্টি ইয়ারস রুল’ নামেও পরিচিত,
যার আওতায় গুরুত্বপূর্ণ বা চাঞ্চল্যকর নয়—এমন মামলায় দণ্ডিতদের সাজা মওকুফ
করার সুপারিশ করা হয়। দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় যাবজ্জীবনের
সাজা ৩০ বছর হয়ে থাকে।
জানতে চাইলে সহকারী কারা মহা পরিদর্শক জান্নাত-উল
ফরহাদ বলেন, “যারা মুক্তি পাচ্ছেন, তাদের সবাই খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত
হয়ে কারাভোগ করছিলেন। তাদের প্রায় সবারই ৩-৫ বছর বা তারও বেশি সাজা বাকি
ছিল। তারা দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
“যাদের কারাগারে আচরণ
ভালো ছিল, কারাগারে অপরাধ করেননি। যাদের বয়স বিবেচনায় মুক্তি দিলে সমাজের
কোনো ক্ষতি হবে না—এমন ৩৭ জনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।”
মুক্তির জন্য নির্ধারিত ৩৭ জনের সবাই পুরুষ বলেও জানান তিনি।
এবছর সাজা মওকুফ করে ইতোমধ্যে শতাধিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এই কারা কর্মকর্তা বলেন, “এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।”
