
ইসরায়েলের
আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন, ক্ষতিগ্রস্ত ইয়েমেন। আর গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত
সিরিয়া। এই তিন দেশের আর্চারদের পাশে দাঁড়িয়েছে এশিয়ান আর্চারি ফেডারেশন ও
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন। আসছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপসে এই
দেশগুলোর আর্চারদের অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রণোদনা; যাতে আন্তর্জাতিক
আঙিনায় তারা মেলে ধরতে পারে নিজেদের।
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপসের
২৪তম আসর শনিবার শুরু হবে বাংলাদেশে। জাতীয় স্টেডিয়াম ও আর্মি স্টেডিয়ামে
৩০টি দেশের আর্চাররা তীর-ধনুকের লড়াইয়ে নামবেন। রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড মিলিয়ে
মোট ১০টি ইভেন্টে সব মিলিয়ে ২০৯ জন প্রতিযোগী এবার অংশ নিতে যাচ্ছে। এর
মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ ও ৯০ জন নারী আর্চার।
এই আসর উপলক্ষে মঙ্গলবার সংবাদ
সম্মেলনে লোকাল অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ
চপল প্রতিযোগিতার আয়োজক হওয়া, লক্ষ্যসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। চীনকে
হারিয়ে আয়োজক সত্ত্ব পাওয়া নিয়ে দিলেন চমকপ্রদ তথ্য। ফিলিস্তিন, ইয়েমেনের
আর্চারদের পাশে দাঁড়ানোর কথাও বললেন তিনি।
“ফিলিস্তিনের অসহায়ত্বের কথা
আপনারা জানেন। ওদের ওখানে যে অবস্থা, ভিসা কার্যক্রমের জন্য কোনো ব্যবস্থাই
অবশিষ্ট নেই। অন অ্যারাইভেল ভিসার মাধ্যমে তাদের আনার ব্যবস্থা করেছি।
লেবানন, সিরিয়া আছে, ইয়েমেন আছে, আরও অনেক দেশ আছে, তাদের এলওসির মাধ্যমে
বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে আনা হচ্ছে। আমরা চাই সুন্দর একটা চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন
করতে।”
“আমরা যখন ২০২৩ সালে ব্যাংককে বিড করি (আয়োজক হওয়ার জন্য)।
আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ভারত ও চীন। ভারত আমাদের ছেড়ে দিয়েছিল। চীন অনেক
শক্তিশালী দেশ, ওরা সব কিছু পারে, ওদের সবকিছু আয়োজনের সামর্থ্য আছে;
কিন্তু ভোটাভুটিতে আমরা বেশি ১৪-১০ ভোট পেয়ে আয়োজক হয়ে গেলাম।”
এ নিয়ে
তৃতীয়বারের মতো এশিয়ার আর্চারির সর্বোচ্চ আসর আয়োজন করছে বাংলাদেশ। এর আগে
২০১৭ ও ২০২১ সালের আসর বসেছিল ঢাকায়। প্রথমবার পদকের খাতা ছিল শুন্য।
দ্বিতীয়বার একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন আর্চাররা। এবারের লক্ষ্য
নিয়ে প্রাথমিকভাবে সেমি-ফাইনালে ওঠার কথাই জোর দিয়ে বললেন চপল।
“এবারের
আসরে একটা চমক হচ্ছে, অনেক অলিম্পিয়ান আসছে। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের জন্য
প্রতিটি দেশ সেরা দল নিয়েই আসছে। তবে দোয়া করবেন, এবারের আসরে আমাদের
সাফল্যের ধারা যেন থাকে। এর আগে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে আমরা অনেক পদক
পেয়েছি। সোনা ৪৩টির বেশি, রুপা ও ব্রোঞ্জ ৫০টির বেশি পেয়েছি। আমরা অবশ্যই
চাইব এবার বাংলাদেশ সাফল্য পাক, সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত যদি যেতে পারি, যদি
সেমি-ফাইনাল টপকাতে পারি, তাহলে আমরা আশা করি, ফাইনালেও ভালো করব।”
এবারের
আসরে ফেডারেশনের পাশে যথারীতি আছে সিটি গ্রুপ। সরকারের পক্ষ থেকেও যথেষ্ট
আর্থিক সহযোগিতা মিলছে বলেও জানালেন ফেডারেশনের সভাপতি ড. মোখলেছুর রহমান।
“যারা
এর পৃষ্ঠপোষক, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এবারই প্রথম সরকার আমাদের বড়
ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করেছে, এ জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।”
