
ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের দেবিদ্বার অংশে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ
নেওয়ার অভিযোগে ১৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১ নভেম্বর
)দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা
গেছে, গত শুক্রবার শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের ছবি ব্যবহার করে ঢাকা-
চট্টগ্রাম মহাসড়কের দেবিদ্বারে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন
আওয়ামীলীগ। পরে ঝটিকা মিছিলের ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্নস্থানে
অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঝটিকা মিছিলের নেতৃত্ব দেন উত্তর
জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মোতাহের হোসেন মোল্লা।
গ্রেপ্তারকৃতরা
হলো, দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে যুবলীগ
কর্মী মো. জালাল (২৮), ওয়াহেদপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন সরকারের ছেলে ও
সুবিল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল আমিন সরকার (৩৮), বুড়িরপাড়
গ্রামের মোহর আলীর ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী হরমুজ মুহুরী (৫০) এবং একই
গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোশারফ হোসেন (৫৪), সাবেরপুকুরপাড় গ্রামের
গোলাম মোস্তফার ছেলে ছাত্রলীগ সদস্য গোলাম কিবরিয়া (২২), বরাট গ্রামের মো.
সেলিমের ছেলে যুবলীগ সদস্য মো. সুজন (২৬), পদ্মকোট গ্রামের মজিবুর রহমানের
ছেলে জামাল হোসেন (৪৭) এবং একই গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে আবুল কালাম
ভোলা (৪০), বক্রিকান্দি গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. রেজাউল করিম
(২৭); দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে পৌর যুবলীগের
সহসভাপতি আল আমিন (৪২); একই গ্রামের মো. সৃজান (১৮), মো. সফিকুল ইসলাম (২৩)
এবং ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন (৪৪)।
এ
বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস
বলেন, “নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি
এবং আরও অজ্ঞাত ১০-১৫ জনসহ মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা
হয়েছে। এতে ৬ জন আসামিকে আটক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আবুবকর হত্যা
চেষ্টা মামলার ৭ জনসহ মোট ১৩ আসামিকে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
