
ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ অংশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ কুমিল্লা উত্তর জেলা
আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিলের পর শুরু হয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের
বাড়িতে বাড়িতে তল্লাসী অভিযান।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ
সম্পাদক ও দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রৌশন আলী মাস্টার এর ছবি
সম্বলিত ব্যানার হাতে নিয়ে ওই ঝটিকা মিছিল করে দেবীদ্বার উপজেলার কয়েকজন
নেতা-কর্মী। ৪৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে
পড়ে। ওই ভিডিওতে নেতা-কর্মীদের বলতে শোনা যায়- ‘শেখ হাসিনা বীরের বেশে,
আসবে ফিরে বাংলাদেশে’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘ শেখ হাসিনা ভয় নাই,
রাজপথ ছাড়ি নাই’। ওই মিছিল অংশ নেয়া নেতা-কর্মীদের বেশির ভাগই দেবীদ্বার
উপজেলার আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদের নেতা-কর্মী এবং যে স্থানটিতে মিছিলটি
করেছে সেটিও মুরাদনগর উপজেলার অংশে।
কিন্তু ওই ভিডিওকে কেন্দ্র করে
দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে
চলে গ্রেফতার অভিযান। ওই অভিযান থেকে বাদ পড়েনি চান্দিনা উপজেলাও। শুক্রবার
(৩১ অক্টোবর) রাতে চান্দিনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ
অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ছয় নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
তারা হলো-
চান্দিনার হাড়িখোলা গ্রামের হারুনুর রশিদ এর ছেলে কেরণখাল ইউনিয়ন যুবলীগ
সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান শামীম মেম্বার, বেলাশহর গ্রামের মৃত আমির
হোসেন এর ছেলে চান্দিনা পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি খাঁজা শরীফুল ইসলাম, বীরখাল
গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হক এর ছেলে মাইজখার ইউনিয়ন ওয়ার্ড যুবলীগ সহ-সভাপতি
দেলোয়ার হোসেন, ছায়কোট গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে পৌর তাঁতী লীগ সিনিয়র
সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, বাতাঘাসী গ্রামের আব্দুর রহমান এর ছেলে ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উল্লাহ, একই গ্রামের আলী মিয়ার
ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন চৌধুরী।
এছাড়াও শুক্রবার রাতে উপজেলার অর্ধশত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তল্লাসী অভিযান চালায় পুলিশ।
এ
ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান-
আটককৃতদের মধ্যে চার জনকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলার
মামলায় অপর ২জনে সন্ত্রাস দমন আইনের আরেকটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের
মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
