রোববার ২ নভেম্বর ২০২৫
১৮ কার্তিক ১৪৩২
কাইত চিৎ হোটেল
আনোয়ারুল হক
প্রকাশ: রোববার, ২ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৫১ এএম আপডেট: ০২.১১.২০২৫ ১:২৩ এএম |


 কাইত চিৎ হোটেল
এই সমস্ত হোটেলে একরাত বড়জোর দুইরাতের জন্য যারা থাকতে আসে তারা প্রায় সবলেই মামলাবাজ। গুাঁতোগুতি লাগিয়ে মামলা করতে না পারলে এদের ঘুম হয় না। আইল দিয়ে আলাদা করা জমি পাশাপাশি। এর জমির আইল ঠেলে ও দখল করে, ওর জমির পানি সে আটকে দেয়। কেউ কেউ নালা কেটে দিয়ে পরদিন লাঠালাঠি লাগায়। যে কোন ছুতোয় মামলা লেগেই আছে। আর কোর্টে দৌড়াদৌড়িও থেমে নেই।
কুমিল্লা ফৌজদারি কোর্টে মামলা করতে নতুবা সাক্ষী দিতে আসে ওরা সকাল দশটার ডাউন ট্রেনে এসে নামে। রেলস্টেশনের কাছেই দুই একরাতের জন্য ওঠে কাইৎ-চিৎ হোটেলে। রেল গেইট পার হয়ে সোজা রাস্তায় পায়ে হেঁটেই আসা যায় এইসব হোটেলে। চৌমাথা থেকে নাক বরাবর পূব দিকে এলে বামে একটি চা-পরোটা-ভাজির জমজমাট রেষ্টুরেন্ট, ডানে মুদি দোকান। চৌমাথার ডানের দিকটা গেছে শাসনগাছার দিকে, আর বাম হাতের দিক গেছে ধর্মপুরের মোড় ঘুরে মূলশহর কান্দিপারের দিকে।
কামাল উদ্দিন ডানে বাঁয়ে না গিয়ে তার চেনা হোটেলটিতে সোজা এগিয়ে এল। একপাশে দাঁড়িয়ে একটু ভাবল, সারবাঁধা এসব হোটেলের কোনটায় উঠবে। যদিও সবই এক ধাঁচের। রাজাপুরের নয়নতারা গ্রামের কামাল উদ্দিন ওরেফে কামাল মিয়া ওর গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের সবার কাছে মামলাবাজ নামে পরিচিত। সে ছাড়াও আরও অনেকেই আসে রাজাপুর, নয়পুর, কসবা, গঙ্গাসাগর, ফকিরহাট এইসব এলাকা থেকে। জেলা শহরে আসার জন্য ডিস্ট্রিক বোর্ডের কাঁচা-পাকা রাস্তা থাকলেও এই লোকাল ট্রেনটিতে যাতায়ত সহজ। ভাড়াও কম। কখনো কখনো লাগেও না। আখাউরা থেকে লাকসাম জংশন পর্যন্ত যে লোকাল ট্রেনটি সকালে আসে আবার সন্ধ্যায় একই পথে ফিরে যায়। মামলায় হাজিরা অথবা সাক্ষী দিতে যাদের একদিন বা দুইদিন যাদের লাগে তারা এইসব হোটেলে থেকে পরের দিন ফিরে যায়। দিনে-রাতে খাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। রাতে-দিনে থাকাসহ, একটা চাপকলে লাইন দিয়ে গোছল আর লেট্রিন ব্যবহার করার ব্যবস্থা আছে। কাৎ হয়ে শুইলে ভাড়া চার আনা, চিৎ হলে আট আনা। থাকতে থাকতে এই মামলাবাজরা সবাই হোটেল মালিকের পরিচিত হয়ে যায়। যেকারণে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস মামলা চলে আর এরা থাকতে আসে।
একই গ্রামে নিজেদের জমির এপারে আর ওপারের বাসিন্দা কামাল মিয়া বিবাদি আর বশির শেখ বাদি। তাদের দুজনের জমি দখলের মামলা চলছে গত দশবছর ধরে। যার শেষ হওয়ার কোন আলামত ঘনিয়ে এসেছে বলে দুজনেই খুব সতর্ক। দুজনের ধানী জমি পাশাপাশি। কয়েক বিঘা করে একেক জনের। উভয়েরই গোয়ালঘর, ধান-চালের গোলা, মাড়াইয়ের উঠোন, খড়ের গাদা বিশাল জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। চৌচালা টিনের ঘর, নানা জাতের গাছ-গাছালিসহ মোটামুটি বাড়ি ভর্তি কামলা, দাসি-বাঁদিও দুজনের কারও কম নেই। সুখেই থাকার কথা এদের। সেটা হয়ে ওঠে না মামলাবাজ স্বভাবের কারণে। ঠোকাঠুকি লেগেই আছে। উত্তরপাড়া আর দক্ষিণপাড়া এই দুইভাগে বিভক্ত। কামাল মিয়া উত্তরপাড়া আর বশির শেখ দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। জমির মামলা ফৌজদারির দুই কোর্টে। যতদিন যায় মামলার নথি মোটা হয়। মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত হয় আইল ভাঙা এবং একহাত এগিয়ে গিয়ে একজন অপরজনের জমিতে কঞ্চির বেড়া দেওয়ার আর্জি। এই কাজটা ওরা নিষ্ঠার সাথে করে যাচ্ছে আর মামলা লড়ে যাচ্ছে।
আজ একই ট্রেনের দুই কামরায় কোর্টে হাজিরা দিতে এসেছে দুজনেই। জিতবে এমন আশা দুজনেরই। স্টেশন রোডের বিপিন শিলের সেলুনের গায়ে লাগা কাইৎ-চিৎ হোটেলের একটিতে ঢুকেছে কামাল মিয়া। তার পড়নে হাফ হাতা ঝোলা শার্ট আর চেক লুঙ্গি। কোমড়ে খুতিতে টাকা পয়সা, পান জর্দার কৌটা, ছোট্ট একটা চিরুনী এই সম্বল। এর বেশি বোচকা নেওয়ার তো দরকার নেই। মামলার শেষদিনের সাক্ষী হতে এসেছে। তারপর রায়ের অপেক্ষা নিয়ে ফিরবে।
এসব হোটেলে বিছানার চাদর কারো জন্য আলাদা করে পাল্টানো হয়না। চৌকিগুলো ঘরের এমাথা থেকে ওমাথা দুই সারিতে গায়ে গায়ে লাগা করে পাতা। বোর্ডার যারা এখানে ঘুমায় তারা একে অপরের কাছ থেকে আধ হাত ফাঁক রেখে কাৎ হয়ে বা ভাড়া অনুযায়ী চিৎ হয়ে শোয়। প্রত্যেকের জন্য একটা তেল চিটচিটে বালিশ আছে। সেই বালিশ না থাকার মতো। কোন মশারি নেই। গরম লাগলে হাতপাখা সম্বল। মাথার উপরে কোন ফ্যান নেই। দশফিট বাই তিরিশ ফিটের এই ঘরটিতে দুইদিকে মাঝামাঝি জায়গায় যাট পাওয়ারের দুটি বাল্ব রাতে জ্বলে। দশটায় বাতি যখন নিভে যাবে তখন বাইরের সদর রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট থেকে ভিতরে আসা আলো সম্বল। কাইৎ-চিৎ হোটেলের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, সামনের দিকের দরজা চব্বিশঘন্টা খোলা থাকে। থাকে না। পণ্ডশ্রম হবে মনে করে কোন ছিঁচকে চোর এইসব হোটেলে ঢুকে না।   
একই ব্যবস্থায় পাশের কাইৎ চিৎ হোটেলটিতে উঠেছে বশির শেখও। ব্যবস্থাপনায় এটির সাথে ওই হোটেলটিরও কোন পার্থক্য নেই। নিজের হোটেলে ঢোকার আগে বশির শেখকে পাশেরটিতে কামাল মিয়া ঢুকতে দেখেছে। ঘন্টা খানেক পরে পাশেই ওদুদ মিয়ার রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাওয়া খেয়ে যখন সে উকিলের বাড়ির দিকে যাচ্ছে তখন আড় চোখে খেয়াল করেছে বশির শেখ হোটেল মালিকের সঙ্গে গল্প করছে। হাসিমুখ। বগা সিগারেটের ধোঁয়াটা বাইরের দিকে ছাড়ার সময় বশীর শেখও দেখেছে কামাল মিয়াকে, সে হোটেলের সামনে রাস্তায় দাঁড়ানো একটা রিকশায় উঠছে। দেখে বাম হাতের তর্জনী দিয়ে বশির শেখ একজনকে ইশারা করলো, আর মুখে বললো, ঐ লৈাকটা। রিক্সায় উঠতাছে। দেইখা রাখ।

দুই.
জজপাড়ায় উকিলের চেম্বারে গিয়ে কামাল মিয়া শুনলো, উকিল সাহেব তখনও কোর্ট থেকে ফিরে আসেননি। অপেক্ষা করতে করতে করতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। ঘরে ফিরেই কোনদিকে না তাকিয়ে এডভোকেট ময়েজ সরকার সোজা ঘরের ভিতরে চলে গেলেন। মাগরিবের নামাজ, চা-নাস্তা খাওয়া বিশ্রাম শেষে উকিল সাহেব যখন চেম্বারে এলেন তখন রাত আটটা। কামাল উদ্দিনকে দেখে মুহুরিকে ইশারা করলে মামলার ফাইল সামনে মেলে ধরল মুহুরি কাসেম। ময়েজ সরকার খুব বেশি সময় নষ্ট করলেন না। বললেন,
-কাল তো কোর্টে শেষ হাজিরা। সাবধানে থাকবেন। সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে সময় মতো কোর্টে আসবেন। খরচপাতি মিটাইয়া যান। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। রায় আপনের পক্ষেই যাইব। চিন্তা কইরেন না।
উকিল সাহেবের কথায় দাড়ি পড়তেই মুহুরি এসে কামাল মিয়াকে বললো, পাশের ঘরে আসেন।
রাত সাড়ে আটটার দিকে উকিলের চেম্বার থেকে রাস্তায় নেমে কোমরে খুতির বাঁধন লাগানোর সময় কামাল মিয়ার মনটা খচ্ করে উঠল। মোটা-তাজা বাণ্ডিলটায় যা ছিল তার প্রায় সবই গেছে উকিলের পেটে। তবুও মনে যে আশা সেজন্যে টাকার কষ্টটা হজম করে সান্ত্বনা খুঁজল, উকিলের কথায়। বলেছে, মামলায় সে জিতবে। টাকার শোক ভুলতে তাই বেশি সময় নিল না কামাল মিয়া। মামলায় হেরে যাওয়া বশির শেখের মুখটা মনে করে আরাম পেল। দিলে ফুরফুরে ভাব নিয়ে সামনের টং দোকান থেকে জর্দা দিয়ে একটা পান মুখে দিয়ে রিক্সায় উঠল সে।
হোটেলে ফিরে ঘুমানোর আগে রাতের খাবার খেল পাশের দোকান ওদুদু ভাই রেস্টুরেন্টে। এই দোকানের ভাত-তরকারি, পরোটা ভাজি-ডাল সব খাবারের মানই ভাল। খেয়ে আরাম পাওয়া যায়। আশেপাশের কাইৎ-চিৎ হোটেলের যারা বাসিন্দা তারা এই দোকানের রেগুলার কাস্টমার। এখানের দুধ চা, রঙ চা, লেবু চাও অন্য দোকানের মতো নয়। ভরপেট খেয়ে তৃপ্তি নিয়ে এক কাপ দুধ চাও খেল কামাল মিয়া। তারপর দোকানের উল্টোদিকে পান দোকানে জম্পেশ একটা পান খাওয়ার জন্য যখন সে দাঁড়াল, তখন পাশ থেকে একটা মাঝবয়সী লোক ঘষামাজা জিনসের উপর হাফহাতা শার্ট পরা, মুখে খোঁচাখোচা দাড়ি, কুতকুতে চোখের. পান খাওয়া কালচে ঠোঁট তার কাঁধে বাম হাত রেখে উল্লাসে চেঁচিয়ে উঠল, আরে কামাল ভাই আপনি এখানে ?
কামাল মিয়া লোকটার দিকে দিকে বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ। তাকে সাড়া দিতে না দেখে লোকটা আবার চেঁচালো,-চিনতে পারতেছেন না কামাল ভাই ? আমি মজনু। হাজি পাড়ার ইলিয়াসের মামাতো ভাই। সরকারি প্রাইমারি স্কুলের দপ্তরি। আপনের বাড়িত কত খাইলাম। আপনের নাতিরে স্কুলে আনা নেওয়া করলাম। মনে নাই আপনের ?
কামাল মিয়া নিজের ধান্দায় থাকে সারাক্ষণ। এইসব মেলামেশার খবর সে রাখে কম। মনে করতে পারলো না এই লোকটারে গ্রামে সে কোনদিন দেখেছে কিনা। হাজি পাড়ায় ইলিয়াস বলে একজন অবশ্য আছে। তাই সে সৌজন্য দেখাল। মুখে হাসি নিয়ে বললো, ও আইচ্ছা। জবাব শুনে মজনু সাথে সাথে পান দোকানদারকে বললো,
-এই মিয়া, মানিক ভাইরে একটা পান খাইতে দেও, আর একটা বানাইয়া কাগজে মুড়াইয়া দেও। রাইতে ঘুমানোর আগে খাইব। হে হে হে-
কামাল মিয়া যত না না করে মজনু তত জোর করে। -কী যে কন মানিক ভাই। আপনে আমার গেরামের মানুষ। দুইডা পান এনা। বেশি কিছু তো না। নেন। না কইরেন না।
দোকানি একটা পান এগিয়ে দেয়। কামাল মিয়া হাসিমুখে বাম গালে পান পুরে চুনের ডিব্বা থেকে আঙুলের মাথায় চুন নেয়। আর একটা পান কাগজে মুড়ে এগিয়ে দিতে মজনু সেটা দোকানির হাত থেকে নিয়ে মোড়কটা খুলতে খুলতে বলে, -দেখি কি পান দিলেন। ভাইয়েরে সুপারি, জর্দা, গুয়ামুড়ি ঠিকমতো দিছেন ? দেখি-
মজনু বানানো পানটা হাতে নিয়ে ভিতরের সুপরি, গুয়ামুড়ি, জর্দা বাম হাতে নেয়। ডান হাতের তালু দিয়ে পানটা মুছে সুপারিসহ আন্যান্য মশলাগুলো দিয়ে আবার পানটা বানিয়ে কাগজে মুড়ে কামাল মিয়ার হাতে দেয়। 
-নেন, কামাল ভাই, রাইতে ঘুমের আগে খাইয়েন।
মজনু পানের দাম দিতে দেয় না কামাল মিয়াকে। কাঁধ ধরে নিজের দিকে একটা টান দিয়ে বলে, - ধুর, কামাল ভাই, আট আনা পয়সা আপনে দিবেন কি ! রাখেন তো! পকেটে হাত দিয়া ছোড ভাইয়েরে শরম দিয়েন না।
কামাল মিয়া মজনুর আন্তরিকতায় মুগ্ধ বিগলিত হয়। পানের দাম দিয়ে মজনু তাকে জিজ্ঞেস করে,
-তয় কী জন্য আইছেন শহরে ? কামাল মিয়া জবাব দেয় না। ভরপেটে পানটা চিবাতে মজা এসে গেছে। সে হাসে। কিন্তু মজনু আর জবাবের অপেক্ষা না করে ‘বালা থাকেন কামাল ভাই’ বলে দ্রুত স্টেশনের দিকে চলে যায়।
স্টেশনের গায়ে লাগোয়া বড় রেস্টুরেন্ট থেকে ভেসে আসছে পুরনো দিনের গান-বচপানকে মোহাব্বত কো...কামাল মিয়া হোটেলে ফিরে চিৎ হয়ে শুয়ে গান শোনে। মামলা শেষ হতে যাচ্ছে কাল । তাই সে কাৎ হয়ে শোয়ার ভাড়া না দিয়ে চিৎ হয়ে শোয়ার ভাড়া দিয়েছে। প্রথম পানটা শেষ হয়ে এলে দ্বিতীয় পানটাও মুখে দিল কামাল মিয়া। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘোর লাগা চোখে স্বপ্নে দেখতে শুরু করল সে। পায়ের তলার মাটি সরে গিয়ে শূন্যে উড়ছে। ধীরে ধীরে তার ধানী জমিগুলো পার হয়ে বশিরের জমির উপর দিয়ে যাচ্ছে সে। বাতাসে তার লুঙ্গি তবন উড়ছে পৎপৎ করে। সে যাচ্ছে, সে ভাসছে..
পরেরদিন দুপুরের দিকে কামাল মিয়ার ঘুম যখন ভাঙল, লাফ দিয়ে উঠে বিছানায় বসে নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে সে হাউমাাউ করে চেঁচাতে লাগল। কোমরের নিচে জাঙ্গিয়াটা ছাড়া তার গায়ের শার্ট, লুঙ্গি, কোমরের খুঁতি সব উধাও। আশেপাশে কেউ নেই। যে যার কাজে বেরিয়ে গেছে!












http://www.comillarkagoj.com/ad/1752266977.jpg
সর্বশেষ সংবাদ
নির্বাচনের বিকল্প নেই
মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জন্য একটি অশনি সংকেত
কুমিল্লায় সমবায় দিবস পালিত
আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব মজুমদার রকেট গ্রেফতার
মহাসড়কে ঝটিকা মিছিল দেবিদ্বারে আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব মজুমদার রকেট গ্রেফতার
নির্বাচনের বিকল্প নেই
গণভোট না হলে নির্বাচন অর্থহীন : জামায়াত আমির
মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জন্য একটি অশনি সংকেত
কুমিল্লায় সমবায় দিবস পালিত
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২