বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যাসহ আওয়ামীলীগের নানা কর্মকাÐে
অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে দুধ দিয়ে গোসল করে নিজেকে পবিত্র করেছিলেন ইউনিয়ন
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ। এরপরও
তিনি রেহাই পাননি। গত ৪ আগষ্ট দেবিদ্বার পৌর এলাকার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা
আব্দুর রাজ্জাক রুবেলতে গুলি করে হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামী চেয়ারম্যান
মাসুদ। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করে
জামিন চেয়েছিলেন তিনি। শুনানি শেষে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
মো. বেলাল হোসেন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ
দেন। চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ দেবিদ্বার উপজেলার ৬নং ফতেহাবাদ
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তিনি আশানপুর গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী হাজী মো. ফরিদ উদ্দিনের ছেলে।
জানা
গেছে, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আব্দুর রাজ্জাক
রুবেলকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ ঘটনায়
সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, রাজী মোহাম্মদ ফখরুলম উপজেলা চেয়ারম্যান
মামুনুর রশীদসহ ২০০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত
রুবেলের মা হোসনেয়ারা বেগম। ওই মামলায় এজহারভুক্ত আসামী ছিলেন মাসুদ। তিনি
চেয়ারম্যান পদ থেকে ৩ মাসের ছুটি নিয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। এরই মধ্যে
তিনি উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিনে এসে পরবর্তীতে নি¤œ আদালতে
হাজির হওয়ার কথা ছিল কিন্তু পরে তিনি আর হাজির হননি। গতকাল বুধবার কুমিল্লা
সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আমলি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন
আবেদন করলে আদালত তার জামিনা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
দেন। চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের
অনুসারী ছিলেন। গত ১৭ আগষ্ট মাসুদ তার বাড়ির ছাদে আওয়ামী লীগের কর্মকাÐে
অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে দুধ দিয়ে গোসল করে পবিত্র হয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি
ছেড়ে দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছিলেন।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ
আদালতে আত্মসমপর্ণ করেছে। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর
নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আব্দুর রাজ্জাক রুবেল হত্যা মামলা এজহারভুক্ত
আসামী।
