
বিএনপির ঘোষিত রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও কুমিল্লা-৯ আসনের বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. একেএম জাহাঙ্গীর আলম।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে লাকসাম বাজারে স্থানীয় জনগণের মাঝে ৩১ দফা কর্মসূচিসংবলিত লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। এসময় বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
লিফলেট বিতরণকালে ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার স্বপ্ন ও অঙ্গীকার- লাকসামকে সদর দপ্তর করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা গঠন করা, নওয়াব ফয়েজুন্নেছা কলেজকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা, লাকসাম ও লালমাইতে দুটি আধুনিক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন, মনোহরগঞ্জে একটি নার্সিং কলেজ এবং নাঙ্গলকোটে একটি ভোকেশনাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম জোরদার করা হবে এবং বেকারত্ব দূর করতে গ্রহণ করা হবে বহুমুখী কর্মসূচি। বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে, তাহলে জনগণের কল্যাণে সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।
গত কয়েক মাস ধরে ড. জাহাঙ্গীর আলম লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি, স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
ড. জাহাঙ্গীর বলেন, আমার পরিবার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। আমার বড় ভাই এটিএম আলমগীর হোসেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমার ছোট ভাই কামাল হোসেন বুলু কয়েকবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ১৫-১৬ বছর ধরে আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগের চরম নির্যাতনের শিকার। এমনকি বিএনপিকে সমর্থনের কারণে আমাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় এবং দেশে থাকতেও দেওয়া হয়নি।
