সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২
বৈশাখী মেলায় কদমা-বাতাসা খেয়ে শৈশবে ফেরা
প্রকাশ: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ২:০০ এএম |




  বৈশাখী মেলায় কদমা-বাতাসা খেয়ে শৈশবে ফেরাপ্রধান প্রতিবেদক: বৈশাখী মেলায় আসা লোকজনের হাতে হাতে মুড়ি-মুড়কি, কদমা-বাতাসার প্যাকেট। কারো হাতে ঝুলছে পাঁচমিশালী মিষ্টির হাঁড়ি।কড়াইয়ে গরম রসে চুবিয়ে তোলা জিলাপি খাওয়ার জন্য যেন তর সইছে না। দোকানের সামনে জিলাপি কেনার জন্য লম্বা লাইন।
এ সব দৃশ্য চোখে পড়ল কুমিল্লার টাউন হল মাঠের বৈশাখী মেলায়। সোমবার সকালে সেখানে ঘুরে খুব বেশি দোকান চোখে পড়েনি। তবে হাতেগোনা যে কয়েকটি শুকনো মিষ্টির দোকান বসেছে, সেগুলোতে বেশ ভিড় দেখা গেছে।
রঙ-বেরঙের এসব খাবারে শিশুদের আগ্রহ বেশি। তবে বড়রাও কম যান না; বেশ আয়েশ করেই টপাটপ মিষ্টি মুখে পুরে নিতে দেখা গেল তাদের।
মেলায় সুজন চন্দ্র সাহার দোকানে গিয়ে অন্তত ৬০ পদের শুকনো মিষ্টির পসরা দেখা গেল। তার দ্খোনে জিলাপিও ভেজে দেওয়া হয় গরম গরম।
সুজন বলেন, তার দোকানে চিনির মুরালি ও গুড়ের মুরালিসহ চার রকমের মুরালি বিক্রি হয় ২৮০ টাকা কেজিতে। বাদামের চাপটি ৩০০ টাকা কেজি, তারা বিস্কুট ২০০ টাকা, মুড়ির মোয়া ২৪০ টাকা আর কাজু বাদামের মিষ্টি ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন তিনি।
এছাড়া গুড় মাখানো খই ২০০ টাকা কেজি, বাতাসা ২৮০ টাকা, পেরা সন্দেশ ৪০০ টাকা কেজি, সন্দেশ ৪৫০ টাকা কেজি, চমচম ২০০ টাকা আর জিলাপি ২০০ টাকা কেজিতে তার দোকানে মিলবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা সারা বছরই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে এসব খাবার বিক্রি করি।গ্রামের বাজারে কিংবা শহরের বিভিন্ন শিল্পমেলায় আমাদের দোকান বসে। তবে বৈশাখী মেলার জন্যই অপেক্ষা বেশি থাকে। মেলা উপলক্ষে নতুন করে সব বানানো হয়। বিক্রিও হয় বেশি।”
টাউন হল মাঠে বৈশাখীর মেলায় কথা হয় লেখক জহির শান্তর সঙ্গে। প্রথম শ্রেণী পড়ুয়া সন্তান কাব্যর হাত ধরে মেলায় ঘুরছিলেন তিনি।
শৈশবের স্মৃতিচারণ করে জহির বলেন, “কাব্য এর আগে কখনো মেলায় মিষ্টির এত আয়োজন দেখেনি। আসলে আমাদের শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে আর সন্তান মেলা দেখাতে এখানে আসা। শহুরে নতুন প্রজন্মের কাছে মেলা, মুড়ি- মুড়কি, কদমা, বাতাসা এসব অপরিচিত।
“অথচ আমরা ছোটবেলায় মেলায় গিয়ে আগে পুঁটলি ভরে এসব কিনতাম। আর খেতে খেতে মেলায় ঘুরতাম। আজকেও যেন সেই শৈশবে ফিরে গেলাম।”
আলোকচিত্রী আলমগীর হোসেন মাটির পাতিল ভরে পরিবারের জন্য কিনেছেন পাঁচমিশালি। বাসায় নিয়ে তাদের উপহার দেবেন বলে জানালেন।
তিনি বলেন, আটা, ময়দা, চিনি, গুড়, তেল, ডাল এসব দিয়েই বানানো হয় এসব মিষ্টি খাবার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব খাবারের দাম বেড়েছে কিন্তু আমাদের খাবারের আগ্রহ কমেনি।
“তবে খোলা জায়গায় যে পরিমাণ ধুলোবালি ওড়ে, এগুলো বাচ্চাদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।”














সর্বশেষ সংবাদ
কুমিল্লায় বোরো ধান কাটার উৎসব কৃষকের মুখে হাসি
চাপ প্রয়োগ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জমি দখলে নেন সাবেক এমপি বাহার
চৌদ্দগ্রামে শ্রমিক সঙ্কটে ঘরে তুলতে পারছে না বোরো ধান
জনগণের ভোটে সুশাসনের সরকার চায় বিএনপি - হাজী ইয়াসিন
চান্দিনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পাট গবেষণা কেন্দ্রের নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি
চাপ প্রয়োগ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জমি দখলে নেন সাবেক এমপি বাহার
কুমিল্লায় কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
পুলিশ হত্যা মামলা: শিশু আসামির বিষয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা
ক্ষতিপূরণ চেয়ে ‘কুমিল্লা বাঁচাও’ কমিটির বিক্ষোভ সমাবেশ
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২