আগামী
ফেব্রুয়ারিতে ৫৮ পূর্ণ করবেন কাজুয়োশি মিউরা। তবে থামাথামির নাম নেই তার।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী পেশাদার ফুটবলার তিনি বেশ আগে থেকেই। জাপানিদের
প্রিয় ‘কিং কাজু’ সেই পথ ধরে ছুটতে চান আগামী মৌসুমেও।
জাপানের সংবাদ
সংস্থা কিয়োদো জানিয়েছে, আগামী মৌসুমেও খেলবেন মিউরা। এখন তিনি খেলছেন
চতুর্থ স্তরের ক্লাব সুজুকায়। এই ক্লাবের হয়ে চুক্তি নতুন মৌসুমেও বাড়িয়ে
নিতে চান এই ফরোয়ার্ড।
এই বয়সে অবশ্য নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ তিনি আর
পান না। কিছু ম্যাচে কয়েক মিনিটের জন্য তাকে নামানো হয়। তার পরও, পেশাদার
ফুটবল চালিয়ে যাওয়াটাই বিস্ময়কর।
তার ক্যারিয়ারের শুরু সেই ১৯৮৬ সালে।
ফুটবলার হওয়ার আশা নিয়ে ১৫ বছর বয়সে জাপান থেকে ব্রাজিলে পাড়ি জমিয়েছিলেন
তিনি। সেই লক্ষ্য পূরণ করেই সান্তোসের হয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু।
সান্তোসের
পর পালমেইরাস ও ব্রাজিলের বিভিন্ন ক্লাবে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত খেলে তিনি ফিরে
আসেন নিজ দেশে। প্রথমবার ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে খেলার সুযোগ পান ১৯৯৪ সালে
ইতালিয়ান ক্লাব জেনোয়ায়। পরে খেলেছেন ক্রোয়েশিয়ার দিনামো জাগরেবে। এছাড়া
খেলেছেন অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালে।
জাপানের জাতীয় দলে তার অভিষেক ১৯৯০
সালে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ৩ ম্যাচ খেলে ১৩ গোল করেন তিনি। কিন্তু
জাপান উতরাতে পারেনি বাছাইপর্ব। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ১৪ গোল করেন
তিনি, প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায় জাপান। কিন্তু বিতর্কিতভাবে
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাকে রাখা হয়নি।
নব্বইয়ের দশকে জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। তখনই ‘কিং কাজু’ নাম পেয়ে যান ভক্তদের কাছে।
দেশের
জার্সিতে ৮৯ ম্যাচে ৫৫ গোল তার, এখনও যা জাপানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জাতীয়
দলে সবশেষ খেলেন তিনি ২০০০ সালে। এর ২৪ বছর পরও খেলে যাচ্ছেন পেশাদার
ফুটবলে।