প্রথম
ম্যাচে অল্প রানের পুঁজি নিয়ে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হারতে হয়েছে
পাকিস্তানকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আর সেই ভুল করলো না মোহাম্মদ রিজওয়ানের
দল। পেসাররা দারুণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে আটকে রাখলেন অল্প রানে। ব্যাটাররা
আস্থার প্রতিদান দিয়ে তুলে নিলেন ৯ উইকেটের বড় জয়। তাতে তিন ম্যাচের
সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে পাকিস্তান।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) অ্যাডিলেড
ওভালে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। ব্যাট
করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলে অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার জ্যাক
ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক ও ম্যাথু শর্ট ব্যাট চালিয়ে খেলেন। ১০ বলে ১৩ রান করে
ম্যাকগার্ক বিদায় নেন শাহীন শাহর বলে। এরপর ১৫ বলে ১৯ রান করা শর্টকেও
ফেরান শাহীন।
এরপরই কমে যায় অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি। তিনে নামা স্টিভেন
স্মিথ এক প্রান্ত ধরে খেলতে থাকেন। তবে আরেক প্রান্তে ব্যাটাররা থিতু হতে
পারছিলেন না। পাকিস্তানের পেস আক্রমণের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন তারা। হারিস
রউফের পেস তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া।
দলীয় ১০১
রানের মাথায় ৪৮ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন স্টিভেন স্মিথ। এরপরই
যেন শনির দশা লাগে অজিদের ইনিংসে। উইকেট পড়তে থাকে টপাটপ। সাজঘরে
আসা-যাওয়ার মিছিলে নামে লেখান মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা। ৬২
রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে গুঁটিয়ে যায় অজিরা। সর্বোচ্চ ২০
রান স্মিথের।
অস্ট্রেলিয়ার ১০ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন পাকিস্তানের
পেসাররা। সর্বোচ্চ ৫ উইকেট তুলে নেন রউফ। এছাড়া ৩ উইকেট নেন শাহীন শাহ
আফ্রিদি। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন অন্য দুই পেসার নাসিম শাহ এবং
মোহাম্মদ হাসনাইন।
জবাব দিতে নেমে দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব এবং
আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাটে চড়ে উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তান। শুরু থেকেই ঝড়ো
ব্যাটিং করেন দুজন। তাদের মারমুখী ব্যাটিংয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়
পাকিস্তানের। এর মধ্যেই ফিফটি তুলে নেন সাইম। শফিকও এগোতে থাকেন ফিফটির
দিকে।
সাইম এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে দলের জয়ের খানিক আগে ৭১ বলে
৮২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাইম, তাতে ভাঙে ১৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর
বাবর আজমকে সাথে নিয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন শফিক। সেই সঙ্গে তুলে নিয়েছেন
ফিফটিও।
তাতে ১৪১ বল এবং ৯ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়
পাকিস্তান। ২০ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন বাবর। শফিক ৬৯ বলে খেলেন ৬৪
রানের ইনিংস। তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ সমতা। ১০ নভেম্বর পার্থে হবে সিরিজ
নির্ধারণী শেষ ও তৃতীয় ওয়ানডে।