কুমিল্লার
চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জগমোহনপুর এলাকায় খাবার হোটেলের
আড়ালে মাদক বিক্রির ঘটনায় এক কেজি গাঁজা ও ১৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৭ জনকে
আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১
সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানীর অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
আটককৃতরা হলো; জগমোহনপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা, ঘোষতল
গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবদুল খালেক, বদরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের
ছেলে জাকির হোসেন, নারায়নপুর গ্রামের ছায়েদ মিয়ার ছেলে পারভেজ, কেছকিমুড়া
গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের নূর নবী, বরুড়া উপজেলার দেওড়া গ্রামের আবদুস
ছাত্তারের ছেলে শরীফ হোসেন ও ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সরাইল থানার তেরকান্দা
গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মোজাহিদুল ইসলাম।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে,
মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে র্যাবের একটি অভিযানিক টিম বৃহস্পতিবার সকালে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জগমোহনপুর এলাকায় একটি খাবার হোটেলে অভিযান চালায়।
অভিযানকালে মাসুদ রানা, আবদুল খালেক, জাকির হোসেন, পারভেজ, নূর নবী, শরীফ
হোসেন ও মোজাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে এক কেজি
গাঁজা ও ১৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে
চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী খাবারের
হোটেলগুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয় করে আসছিল।
কিছু হোটেলের মালিক বা ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক
ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছে। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য
খাবার হোটেলগুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা
হোটেলগুলো থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদকসেবী ট্রাকের
ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে
সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার হার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা
করে মাদক বিক্রয়কালে অবৈধ মাদকসহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১১
সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানীর অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন,
মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।