নিজস্ব
প্রতিবেদক।। বাবা হারানো অসহায় পরিবারের সন্তান আমিরুল ইসলাম সাব্বির।
আর্থিক সংকটের কারণে স্কুলের ক্লাস শেষে চালাতেন সিএনজি অটোরিকশা। সে টাকা
দিয়ে চলত পরিবার ও নিজেরা পড়াশোনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় গত ৪
আগস্ট দেবীদ্বারের ভিংলাবাড়িতে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের
লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। নিমিষেই ঘাতকের
২টি গুলি সাব্বিরের কানের ভেতরে ঢুকে। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে
সাব্বির। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেলে
রেফার করে। হাসপাতালে নেয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সেও পৈশাচিক হামলা করে
সন্ত্রাসীরা। রক্তাক্ত ও মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্বার করে মেডিকেলে নেন
শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা মেডিকেল থেকে ঢাকা চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন সাবেক
মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন
কায়কোবাদ। গুলির তীব্রতার কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সাব্বিরের।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তার পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা এবং তাদের থাকার
ঘর না থাকায় ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন সাবেক ৫ বারের এমপি ও মন্ত্রী
কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
বৈষম্যবিরোধী
আন্দোলনে শহীদ সাব্বির মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের জাহাঙ্গীর
হোসেনের ছেলে। সে দেবীদ্বার মরিচাকান্দা জিয়া স্মৃতি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের
৯ ম শ্রেণির ছাত্র।