প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৪৫ পিএম |
কৃষক- জনতা জিন্দাবাদ, সিন্ডিকেট মুর্দাবাদ- এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে কুমিল্লার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা ন্যায্য মূল্যে নিত্য পণ্য সরবরাহ করছে। শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে কুমিল্লা নগরীর পূবালী চত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা এই কার্যক্রম শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বাজারে শাকসবজি সহ নিত্য পণ্যের যে উর্ধ্বগতি তা কমিয়ে আনতে পাইকারি আড়ৎ থেকে কেনা দাম সাধারণ মানুষের কাছে পন্য বিক্রি করা শুরু হয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে তা ভাঙতেই এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাঁচার মনিটরিং টিমের চেয়েছেন তারা।
বৈষম বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র মোঃ নাজমুল হোসেন জানান, আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষকে কম দামে নিত্যপূন্য সরবরাহ করতে। সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা অন্তত আরো ১০ দিন এই কার্যক্রম চলমান রাখবো। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত এবং বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত কুমিল্লার পূবালী চত্বরে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ন্যায্য মূল্যে নিত্য পণ্যের ক্রেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা যে দামে বিক্রি করছে তা বাজার থেকে কেজিতে অন্তত ৫ থেকে ১০ টাকা কম মূল্যে বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। বাজার থেকে কম দামে পূর্ণ কিনতে পারায় অনেকেই ভিড় করছেন ন্যায্য মূল্যের দোকানে। ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে বাজার করতে আসা ক্রেতা সাকিব হোসেন জানান, বাজারে যে দাম তা আসলে হিসাব করতে গেলে এখন আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার উপর একেক জায়গায় একেক রকমের দাম। মানুষ স্বল্প মূল্যে যেখানে পাবে সেখান থেকেই বাজার করবে। প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং আরো শক্তভাবে করা। আর শিক্ষার্থীরা যে বাজার বসিয়েছে তা সাধারণ মানুষের খুবই কাজে আসবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ন্যায্য মূল্যের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা দরে। আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২১০ টাকা, মাঝারি লাউ ৩০ টাকা, ছড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।