নিজস্ব
প্রতিবেদক : দেশের প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকলেও অক্টোবরে ভারী
বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্ব
পার্বত্য অববাহিকার কিছু জায়গায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে
পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের
দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এই সকর্ততার সঙ্গে বলা হয়েছে, অক্টোবরে দেশের উত্তর
ও মধ্যাঞ্চলে দুই-চার দিন মাঝারি থেকে তীব্র বজ্রঝড় হতে পারে। সারা দেশে
তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা থেকে মাঝারি বজ্রঝড়ও হতে পারে।
ষড় ঋতুর
বাংলাদেশে আষাঢ় ও শ্রাবণকে বর্ষাকাল বলা হলেও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে অন্তত
চার মাস বৃষ্টি হয়, যা সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষে বিদায় নেয়।
তবে
মঙ্গলবারের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এবার অক্টোবরের প্রথমার্ধে
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু, যার প্রভাবে বৃষ্টি হয়; সেই বায়ু ধীরে ধীরে
বিদায় নেবে।
সেইসঙ্গে এই মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ তৈরি
হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া
অফিস বলছে, অক্টোবরে ‘স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা’ আছে।
এর মধ্যে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
এ
বছর বর্ষার শুরুতে জুনের দ্বিতীয়ার্ধে দেশে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে
বন্যার কবলে পড়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। ঈদের উৎসবের আগে ও পরে দুই সপ্তাহ ধরে
দুর্ভোগে কাটে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের। সে সময়
উত্তরাঞ্চলেও পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়।
উজানের ঢলে জুলাইয়ের শুরুতেও দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। এর ফলে প্লাবিত হয় অনেক গ্রাম।
আর
অতি ভারী বৃষ্টির মধ্যে ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র ঢলের কারণে গত ২০ অগাস্ট
থেকে দেশের দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্বাংশের কয়েক জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।
অল্প সময়ের মধ্যে তা বিস্তৃত হয় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি,
নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও
কক্সবাজারে।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেও দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তার কিছু নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।