সৌরভ
মাহমুদ হারুন : কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন এর বুরবুড়িয়া
এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে সৃষ্ট সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার সাথে
সংযোগ সড়ক সমূহ মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার সাথে গোমতীর
প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাঙ্গনের এলাকার সড়ক সমূহ ক্ষত বিক্ষত এবং ধস লিলিয়া
পরিনত হয়েছে। যার ফলে মানুষ এখন চরম ঝুঁকি নিয়ে দূর্গত এলাকায় চলাচল করছে।
বৃষ্টি হলে শুকনো এলাকা সমূহ পুনারায় বন্যা ময় হয়ে যায়। অপর দিকে বন্যার
পানি নেমে গেলেও রেখে গেছে ক্ষতের চিহ্ন। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যায়
সড়ক ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।
বুড়িচং
উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের গ্রামীণ কাঁচা পাকা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত
হয়েছে। এর মধ্যে কাঁচা পাকর সংখ্যা ১৬০.৫৭ কি.মি. কাল ভাটের সংখ্যা ৪ টি
দৈর্ঘ্য ৪৯ মি.। এতে প্রায় শত কোটি টাকার মত ক্ষতি হবে। জরুরী ভিত্তিতে
বুড়িচং - রাজাপুর - শংকুচাইল সড়কের জরুইন সহ সড়কের বিভিন্ন অংশের ক্ষতি
গ্রস্থ স্থান সমূহ। অপর দিকে বন্যার বাধের এলাকার নানুয়ার বাজার -
ইন্দ্রবতী, ভেড়াজাল - শিকাপুর -বুরবুড়িয়া মাজার এলাকায় সমূহের স্থান বুড়িচং
উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ জরুরী ভিত্তিতে মেরামত কাজ করে যাচ্ছে।
অন্যদিকে
গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে
যানচলাচল কিছু বন্ধ স্থানে যান বাহন চলাচল করছে।কিছু দূর্গম দূর্গত স্থান
সমূহ এখনও চরম দুর্ভোগে যাতায়াত করছেন এবং চলাচল বন্ধ রয়েছে জানিয়েছেন
স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল
অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন সড়কে একাধিক স্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পিচ ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে ৫-১০ ফুট সমপরিমাণ
মাটি সরে গেছে, কোথাও বড় বড় ভাংগার ফলে যোগাযোগ এখন বিচ্ছিন্ন রয়েছে । বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নানুয়ার বাজার - মহিষমারা - শিকারপুর বুরবুড়িয়া সড়ক। এ
রাস্তায় প্রায় এক
কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয়রা পড়েছেন মহাদুর্ভোগে। অসুস্থ, শিক্ষার্থী
ও শিশুদের যাতায়াত ভোগান্তি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।
উক্ত সড়ক থেকে
পানি নেমে যাওয়ায় খাড়াতাইয়া, শিকারপুর, জরুইন, হরিপুর, বাকশীমূল -
কালিকাপুর এলাকার যুব সমাজ ইট ও শুকি ফেল রাস্তা চলাচলের উপযোগী করতে দেখা
গেছে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে ষোলনল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাজী মোঃ বিল্লাল
হোসেন, রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বুড়িচং সদর চেয়ারম্যান
আলহাজ্ব জয়নাল আবেদী বলেন, আমাদের এলাকার রাস্তাগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা সদরের যাওয়ার একমাত্র সড়কটি বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে
গেছে। আমাদের এলাকার সড়ক গুলো মেরামত করে সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী
করতে কয়েক কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানান।
এ ব্যপারে এলজিইডির বুড়িচং
উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহাম্মেদ অক্ষর বলেন, বন্যায় বুড়িচং উপজেলার ৫ টি
ইউনিয়নের প্রায় ১৫৬ টি সড়কের ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
১৬০.৫৭ কি।.মি
কাঁচা -পাকা সড়কের গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কগুলো মেরামতের কাজ
জরুরী ভিত্তিতে চলছে। কুমিল্লা - বুড়িচং - ব্রাহ্মণপাড়া সড়ক বন্যায়
মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো জরুরিভিত্তিতে
মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া বান ভাসিদের ২৫০ এর অধিক লোকজন কে খাদ্য সহায়তায়
করা হয়েছে। সকল সড়কে যান বাহ চলাচলের উপযোগী তাড়াতাড়ি করা হবে। আমাদের সকল
চাহিদা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।