হুমায়ূন কবির জীবন ||
কুমিল্লা
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেছেন,
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ যদি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে-
তাহলে কুমিল্লার প্রতিটি আসনে বিএনপির প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী
হবে। কিন্তু এ জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার, ফেয়ার ইলেকশনের পরিবেশ
দরকার; বর্তমান পরিস্থিতি যা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, যেকোনো মানুষ যদি
জিজ্ঞেস করেন, ‘এই মুহূর্তে নির্বাচন করার মতো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে কি
না’- আমার মনে হয় তার ‘মিনিমাম’ হিতাহিত জ্ঞান থাকলেও সে বলবে, ‘লেভেল
প্লেয়িং ফিল্ড তো নাই-ই এর ধারে-কাছেও কিছু নাই।’
তারপরও আমরা বিশ্বাস করি সরকার একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সত্যিকার অর্থেই জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হাজী ইয়াছিন এসব কথা বলেন।
তিনি
বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশের জনগণ সকল ক্ষেত্রেই গণতান্ত্রিক অধিকার চায়।
বাকস্বাধীনতা চায়। নিরাপদ পরিবেশে বেঁচে থাকার অধিকার চায়। কিন্তু বর্তমান
পরিস্থিতিতে এর সবকিছুই অনুপস্থিত। মিথ্যা মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের
হয়রানী করা হচ্ছে।
হাজী ইয়াছিন বলেন, এই সরকারের শেষ ঘটনাটাই শুধু বলি,
কিছুদিন আগে অনেকগুলো মামলা হয়েছে। যেটাকে গায়েবী মামলা বলে সমাজে সর্বজন
স্বীকৃত। ৮ মাস আগে মারা যাওয়া ব্যক্তিকেও ওই গায়েবী মামলায় আসামী রয়েছে।
সরকারের এসব হয়রানী ও অগণতান্ত্রিক আচারণের কারণেই শুধু কুমিল্লা নয়
সারাদেশেই বিএনপি প্রচুর ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ।
দেশের
জনগণ এখন বিএনপির পক্ষে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমাদের মিটিং হয়েছে। এই মিটিং-কে কেন্দ্র করে সকাল
থেকেই ঢাকা শহরের লোকাল বাস থেকে শুরু করে সবকিছুই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং
তার পরেও কি পরিমাণ লোক হয়েছে! সেখানে নেত্রীর চেয়ার খালি ছিলো। নেত্রীকে
জোর করে মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে রাখা হয়েছে। তারা ভেবেছিলো যে, নেত্রীকে
যদি জেলে পুরে রাখা হয় তাহলে বিএনপি ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাবে। বিএনপির
লোকজন মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়বে। কিন্তু শেষ মিটিংএ প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি
ভাঙ্গেনি, বিএনপি ভাঙ্গবেনা, বিএনপি সুসংগঠিত আছে এবং আগামীদিনেও থাকবে।
সাবেক
এমপি হাজী ইয়াছিন বলেন, আমাদের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা
মামলা দিয়ে লন্ডনে আটকে রাখা হয়েছে শুধুমাত্র বিএনপিকে মানসিকভাবে দুর্বল
করার জন্য। ভেবেছিলো বিএনিপকে ভেঙ্গে ফেলবে। কিন্তু পারেনি, পারবেওনা। শেষ
জনসভাই তার প্রমাণ।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমি চাই কুমিল্লাসহ সারা
বাংলাদেশে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। ১৬ কোটি মানুষের উপর ছেড়ে দেয়া হোক
উন্নয়নের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি। যদি তারা (বর্তমান সরকার) উন্নয়ন করে থাকে
১৬ কোটি মানুষ তার স্বীকৃতি দেবে এবং সেটা হবে প্রকৃত স্বীকৃতি। আমি চাই
উন্নয়ন যা হয়েছে তার বিচার করার জন্য ১৬ কোটি মানুষের এবং কুমিল্লার উন্নয়ন
যতটুকু হয়েছে, যদি বলে উন্নয়ন হয়েছে আমি এ ব্যাপারে বিতর্কে যেতে চাইনা।
আমি বলবো আগামী নির্বাচনটা সুষ্ঠু হোক। কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকায় প্রায়
সাড়ে ৪ লক্ষ ভোটারকে এই উন্নয়নের ব্যাপারে সঠিক মতামত দেয়ার সুযোগ দেয়া
হোক।