মোঃ হুমায়ুন কবির মানিকঃ জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সকল ক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই জামায়াত-বিএনপি ও তাদের দোসররা ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের ভিতরে ঢুকে দেশব্যাপী ধ্বংসাত্মক তান্ডব চালিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে পুনরায় তলাবিহীন জুড়ির দেশে পরিণত করতে চায়। কেননা বাংলাদেশের উন্নয়ন তারা সহ্য করতে পারেনা। গতকাল মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বক্তারা। বক্তারা আরো বলেন, ২০১৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার সকল কোটা বিলুপ্তি ঘটিয়ে শুধু মাত্র মেধা কোটায় চাকুরীর ব্যবস্থা চালু করেছিল। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের আপিলের ভিত্তিতে আদালত যে রায় পুনরায় দিয়েছিল সরকার তাৎক্ষণিকভাবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত পুনরায় আপিল করে। আপিলের নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই যারা কোটা আন্দোলনের নামে সারা দেশে তান্ডব চালিয়েছে, যা সম্পূর্ন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করে বক্তারা। তারা আরো বলেন, এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপির নির্দেশনা মোতাবেক মনোহরগঞ্জ উপজেলার রাজনীতি ও উন্নয়ন পরিচালিত হচ্ছে। তাই মনোহরগঞ্জে জামায়াত-বিএনপির ধ্বংসাত্মক কোন কর্মকান্ড যেন তারা পরিচালনা করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল মান্নান চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আমিরুল ইসলাম, এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়ক মোঃ কামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সেলিম চৌধুরী, আবদুল মজিদ খান রাজু (ইউপি চেয়ারম্যান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার, দেলোয়ার হোসেন ভেন্ডর, কোষাধ্যক্ষ অহিদুজ্জামান অপু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ওসমান গনি ভূঁইয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক ফয়েজ আহমদ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেওয়ান জসিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সামছুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, আবদুল হান্নান হিরু, ইকবাল মাহমুদ, আল-আমিন ভূঁইয়া, আশিকুর রহমান হিরন, উত্তর হাওলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুল ইসলাম মজুমদারসহ উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতৃবৃন্দ। সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্র ঘোষিত কোটা আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মুনাজাত, কালো ব্যাচ ধারণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।